বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রোববার বিক্ষোভ প্রদর্শনের সময় মন্ত্রণালয় ছাড়াও ক্ষমতাসীন ফিড্যাস পার্টির কার্যালয়ের ফটকে কম্পিউটারের পুরাতন যন্ত্রাংশ স্তূপ করে বিক্ষোভ জানায় ক্ষুব্ধ জনতা।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, নতুন এই খসড়া আইন গণতন্ত্রবিরোধী এবং নিম্ন আয়ের মানুষের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। দেশ হিসেবে হাঙ্গেরি আরও পিছিয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
ইন্টারনেট ব্যবহারের উপর কর আরোপের খসড়া আইনটি উত্থাপন করেছে প্রধানমন্ত্রী ভিকটর ওরবানের নেতৃত্বাধীন সরকার। এই আইন পাস হলে প্রতি গিগাবাইট ডেটা ট্রাফিকের পেছনে ০.৬০ ডলার কর গুনতে হবে ব্যবহারকারীকে।
সাধারণ নাগরিকদের বিক্ষোভের মুখে মাসিক ইন্টারনেট ব্যবহারের উপর আরোপিত কর ২.৮৭ ডলারের বেশি হবে না বলে আশ্বস্ত করেছে ক্ষমতাসীন ফিড্যাস পার্টি।
দলে অভ্যন্তরীণ বিভক্তি থাকলেও হাঙ্গেরিতে এখনও নিজের জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী ভিকটন ওরবান। চলতি বছরে তিনটি নির্বাচন জিতেছে তার দল। তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সখ্য এবং তার ‘স্বেচ্ছাচারী’ শাসনব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ তুলেছে বিরোধী দল।