এই গাড়িগুলিতে ড্রাইভিং সিটে বসা ব্যক্তিকে দায়িত্বরত ব্যবহারকারী বা ‘ইউজার-ইন-চার্জ’ হিসাবে পুনরায় সংজ্ঞায়িত করারও প্রস্তাব দিয়েছে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস এবং স্কটল্যান্ডের আইন কমিশন। চালকের আসনে বসা ব্যক্তির জন্য ভিন্ন আইনী বাধ্যবাধকতার কথাও ওই কমিশন বলেছে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
“যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, তবে ড্রাইভিং সিস্টেমের নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটিই এর জন্য দায়ী হবে, চালকের আসনে বসা ব্যক্তি নন।”
একটি গাড়ী স্বচালিত শ্রেণিভূক্ত হওয়ার যোগ্য কি না সে সংজ্ঞাটিও নতুন এই যুগে ঠিক করে দেওয়া উচিৎ বলেই মনে করে কমিশন। সেটি যতো দিন না হচ্ছে, তততোদিন গাড়ি নির্মাতাদের অবশ্যই ‘স্বচালিত’ এবং ‘চালক সহায়ক সিস্টেমের’ গাড়ির মধ্যে পার্থক্য পরিষ্কার করে দিতে হবে।
একটি গাড়ি হয় ‘স্বচালিত’ অথবা ‘স্বচালিত নয়’ শ্রেণিভূক্ত হবে। এর মাঝামাঝি কিছু থাকা উচিৎ নয় বলে দাগ টেনে দিয়েছে কমিশন।
কোনও পরিস্থিতিতে যদি মানব সহায়তার প্রয়োজন পড়ে, উদাহরণস্বরূপ, বৈরি আবহাওয়ার মতো পরিস্থিতিতে, তবে গাড়িটিকে সে সময়ের জন্য স্বচালিত হিসাবে বিবেচনা করা উচিত নয়। সে ক্ষেত্রে গাড়ি চালনার প্রচলিত নিয়মের প্রয়োগ হওয়া উচিৎ বলে মনে করে কমিশন।
২০১৮ সালে এই কমিশনকে স্বয়ংক্রিয় বাহন এবং সড়কে এইসব বাহন চালানোর জন্য আইনী কাঠামো তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়।
চূড়ান্ত প্রতিবেদনে তাদের সুপারিশগুলির মধ্যে রয়েছে-
১. চালকের আসনে বসা ব্যক্তিকে গাড়ি চালনা সংশ্লিষ্ট অপরাধের জন্য অভিযুক্ত করা যাবে না। এর মধ্যে রয়েছে- বিপজ্জনক ড্রাইভিং, অতিরিক্ত গতিতে বা সিগনাল অমান্য করার মতো বিষয়। তবে বীমা ঠিক আছে কি না বা সিট বেল্ট পড়ার মতো বিষয়গুলোর দায় ব্যক্তির ওপরই থাকবে।
২. কিছু গাড়িকে ড্রাইভিং সিটে বা যাত্রা তত্ত্বাবধান করার জন্য লাইসেন্সপ্রাপ্ত অপারেটর না থাকলেও স্বচালনার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে।
৩. দুর্ঘটনা ঘটলে ঘটনা বিশ্লেষণ বা দায়বদ্ধতা নিরূপণের জন্য প্রয়োজনীয় ডেটা অবশ্যই নাগালের মধ্যে থাকতে হবে।
৪. গাড়ির সিস্টেম কীভাবে কাজ করে তা প্রকাশ করতে ব্যর্থ নির্মাতাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা যাবে।