হুয়াওয়েকে ফাঁদে ফেলার খবর অস্বীকার এইচএসবিসি’র

হুয়াওয়ে টেকনোলজিস-কে ফাঁদে ফেলা এবং প্রতিষ্ঠানের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) মেং ওয়ানঝু’র গ্রেপ্তারে ভূমিকা ছিল এইচএসবিসি’র, চীনা গণমাধ্যমের এমন খবর অস্বীকার করেছে হংকং অ্যান্ড শাংহাই ব্যাংকিং কর্পোরেশন (এইচএসবিসি)।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 July 2020, 04:18 PM
Updated : 26 July 2020, 04:18 PM

শনিবার ব্যাংকটি জানিয়েছে, হুয়াওয়ে বিষয়ে মার্কিন বিচার বিভাগের তদন্তের সিদ্ধান্তে এইচএসবিসি’র অংশগ্রহণ ছিলো না-- চীনা মেসেজিং সেবা উইচ্যাটে প্রকাশিত বক্তব্যের সূত্র ধরে প্রতিবেদনে বলেছে রয়টার্স।

একদিন আগেই চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র পিপলস ডেইলি এক প্রতিবেদনে বলেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সহযোগিতা করেছে এইচএসবিসি এবং হুয়াওয়ের বিষয়ে মিথ্যা বলেছে। ওই প্রতিবেদনের দাবি হ‌লো, এরই ফলে ঘটনাপ্রবাহ সিএফও মেং-এর গ্রেপ্তারে গিয়ে ঠেকে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ভিত্তিতে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে কানাডার ভ্যাঙ্কুভার ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে মেংকে আটক করে কানাডার পুলিশ।

ব্যাংক জালিয়াতি এবং স্কাইকম টেক নামের সন্দেহভাজন এক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা ব্যবহার করে অর্থ ও পণ্য ইরানে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে মেংয়ের বিরুদ্ধে। আরও অভিযোগ, ওই কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ইরানের বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা ভেঙ্গেছেন হুয়াওয়ে প্রতিষ্ঠাতার কন্যা।

অভিযোগের তালিকায় আরও আছে, স্কাইকমের সঙ্গে তার সম্পর্ক আন্তর্জাতিক ব্যাংক এইচএসবিসি’র কাছে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। ওই অভিযোগেও নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন মেং।

সরাসরি পিপল’স ডেইলির প্রতিবেদনের উল্লেখ করে উইচ্যাট পোস্টে এইচএসবিসি বলেছে, “হুয়াওয়ের ঘটনা নিয়ে যে অগ্রগতি হয়েছে, তা থেকে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে যে হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে তদন্তের বিষয়টি এইচএসবিসি উস্কে দেয়নি।”

“হুয়াওয়ের সঙ্গে কোনো শত্রুতা নেই এইচএসবিসি’র, হুয়াওয়েকে তারা ফাঁদেও ফেলেনি।”

ব্যাংকটি আরও দাবি করেছে, “মার্কিন বিচার বিভাগের অনুরোধে এইচএসবিসি শুধু প্রকৃত তথ্যই দিয়েছে। এইচএসবিসি কোনো প্রমাণ ভুলভাবে উপস্থাপন করেনি বা সত্য ‘গোপন’ করেনি, নিজেদের স্বার্থে নিজেদের গ্রাহকের কোনো ক্ষতি করেনি।”

শুক্রবার পিপল’স ডেইলির প্রতিবেদন দাবি করে, ইরানে হুয়াওয়ের ব্যবসায়ের কথা জানতো এইচএসবিসি এবং ২০১২ সাল থেকে হুয়াওয়ের জন্য ‘ফাঁদ পাতছিলো’।