করোনাভাইরাস: অ্যাপ বানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিজেই

এ মাসেই করোনাভাইরাস সম্পর্কিত অ্যাপ আনছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। অ্যাপটির সাহায্যে ভাইরাস ঠেকাতে সক্ষমতার অভাব রয়েছে এমন দেশগুলোয় নভেল করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে কিনা তা মূল্যায়ন করা যাবে। অ্যাপটিতে ব্লুটুথনির্ভর কনট্যাক্ট ট্রেসিং ফিচার জুড়ে দেওয়ার কথাও বিবেচনায় রয়েছে – জানিয়েছেন সংস্থাটির এক কর্মকর্তা।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 May 2020, 03:48 PM
Updated : 9 May 2020, 03:48 PM

অ্যাপের মাধ্যমে মানুষকে উপসর্গ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা এবং কোভিড-১৯ থাকলে, সে সম্পর্কিত নির্দেশনা দেওয়া সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তথ্য কর্মকর্তা বার্নার্ডো মারিয়ানো। কীভাবে পরীক্ষা করাতে হবে এমন তথ্যগুলো অ্যাপ ব্যবহারকারীর দেশের উপর নির্ভর করবে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মূলত অ্যাপ স্টোরে বৈশ্বিক একটি অ্যাপ ছাড়ার পরিকল্পনা করেছে । পরে বিভিন্ন দেশের সরকার ওই অ্যাপের প্রযুক্তি নিজেদের সুবিধা মতো ব্যবহার করতে পারবে, যোগ করতে পারবে নানা ধরনের ফিচার। চাইলে ওই প্রযুক্তির আলোকে নিজস্ব অ্যাপও উন্মোচন করতে পারবে সরকারগুলো। - এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন মারিয়ানো।

এরইমধ্যে নিজস্ব প্রযুক্তির কনট্যাক্ট ট্রেসিং অ্যাপ উন্মোচন করেছে ভারত, যুক্তরাজ্য এবং অস্ট্রেলিয়া। সামনের সপ্তাহে কনট্যাক্ট ট্রেসিং অ্যাপ আনার কথা রয়েছে ফ্রান্সের। অন্যান্য আরও বহু দেশ এ ধরনের অ্যাপ আনতে  বর্তমানে কাজ করছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অ্যাপটি দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকার মতো দেশগুলোকে এ ধরনের অ্যাপ ব্যবহারে উৎসাহী করে তুলবে বলে আশা করছে সংস্থাটি। ওই দেশগুলোতে এ ধরনের অ্যাপ তৈরির প্রযুক্তি এবং প্রকৌশলীর ঘাটতি থাকতে পারে - বলছে রয়টার্সের প্রতিবেদন।

“মূলত যে দেশগুলোর হাতে কিছুই নেই, তাদের জন্য এটি মূল্যবান। নাহলে আমরা এমন দেশগুলোকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছিলাম যাদের এ ধরনের অ্যাপ দেওয়ার ক্ষমতা নেই, যাদের জনস্বাস্থ্য অবকাঠামো দুর্বল ”।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অ্যাপ তৈরিতে গুগল ও মাইক্রোসফটের সাবেক অনেক প্রকৌশলী ও নকশাবিদ কাজ করেছেন। স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অ্যাপটি তৈরি করছেন তারা এবং পুরো প্রক্রিয়াটিতে নজর রাখছেন পাঁচ জন। অ্যাপ তৈরির কাজে ওপেন-সোর্স হোস্টিং সেবা ‘গিটহাব’ ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে এতে ব্যবহৃত কোড উন্মুক্ত থাকছে সবার জন্য।

টিমের বেশ কয়েকজন সদস্যকে জিজ্ঞেস করলেও তারা অ্যাপ প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

সীমিত ইন্টারনেট সেবা রয়েছে এমন দেশগুলোয় নিজস্ব সেবা ও তথ্য পৌঁছে দিতে টেক্সট মেসেজের সাহায্য নেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। মার্চ মাসে হোয়াটসঅ্যাপ ও পরবর্তীতে মেসেঞ্জারে-ও অ্যাকাউন্ট খুলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

সামনের সপ্তাহে বিশ্বের সব স্বাস্থ্য কর্মীর জন্যও অ্যাপ নিয়ে আসবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ওই অ্যাপের মাধ্যমে স্বাস্থ্য কর্মীরা জানতে পারবেন, সুরক্ষা গিয়ার ব্যবহারের নিয়ম, হাত ধোয়ার সঠিক উপায় এবং ভাইরাস সম্পর্কিত তথ্য। ‘ডব্লিউএইচও’-এর একটি সাধারণ অ্যাপ-ও রয়েছে। ওই অ্যাপে মূলত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটের তথ্যগুলোই পাওয়া যায়।