ব্যাটারিতে সমস্যা : তদন্তের মুখে টেসলা

ব্যাটারি ও নিরাপত্তা প্রশ্নে ফেডারেল তদন্তের মুখে পড়েছে বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা। যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল হাইওয়ে ট্রাফিক সেইফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (এনএইচটিএসএ) দপ্তরে ব্যাটারি এবং সফটওয়্যার সংক্রান্ত অন্তত দুই ডজন অভিযোগ জমা পড়েছিল  টেসলার নামে।

মো ফয়সাল ইসলামবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Nov 2019, 05:25 PM
Updated : 4 Nov 2019, 05:25 PM

তদন্তটির ভার নিয়েছেন ফেডারেল নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রকরা। ২০১২ থেকে ২০১৯ -এর মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির নির্মিত এবং যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি হওয়া ‘মডেল এস’ এবং ‘মডেল এক্স’-এর সবগুলো গাড়ির সমস্যাই এই তদন্তের অধীনে খতিয়ে দেখা হবে। --- খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের এক অভিযোগকারীর বক্তব্য, ‘মে মাসে সফটওয়্যার আপডেট করার পর তার ২০১৪ মডেলের টেসলাটি প্রতি চার্জে আগের চেয়ে ৩০ মাইল কম চলছে।’

ওই অভিযোগকারী আরও বলেন, ‘সফটওয়্যার আপডেটের পর থেকেই খুব ঘন ঘন চার্জ দিতে হচ্ছে গাড়িটিকে। চার্জ হতেও অনেক বেশী সময় নিচ্ছে গাড়িটি।’

এদিকে, লস অ্যাঞ্জেলস টাইমসে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, অক্টোবরের ২৪ তারিখ ফেডারেল সংস্থার পক্ষ থেকে টেসলার আইন বিভাগে চিঠি পাঠানো হয়েছে। উচ্চ ভোল্টেজের কারণে টেসলার মডেল এস ও মডেল এক্স-এর কিছু গাড়ির ব্যাটারিতে আগুন ধরার ঘটনা ঘটেছিল। চিঠির মাধ্যমে ওই ঘটনাগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে।

মূলত গাড়িতে আগুন ধরে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটার পরেই মে মাসে সফটওয়্যার আপডেট আনে বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের স্যান ফ্রান্সিস্কোর আবাসিক গ্যারেজে পার্ক করে রাখা এক মডেল এস টেসলায় আগুন ধরার ঘটনা ঘটেছিল।

ওই ঘটনা ঘটার সপ্তাহখানেক আগে আবার ‘মডেল এস’ টেসলায় আটকা পড়ে মারা যান ওমার আওয়ান নামের ৪৮ বছর বয়সী এক ‘অ্যানসথেসিওলজিস্ট’। দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন তিনি। অনেক চেষ্টা করেও ‘আধুনিক’ হ্যান্ডেলের মাধ্যমে গাড়িটির দরজা খুলতে পারেনি পুলিশ। আটকে গিয়েছিল হ্যান্ডেলটি।