এই নিষেধাজ্ঞার ফলে অফিসিয়াল ফোনে উইচ্যাট ব্যবহার করতে পারবেন না কর্মকর্তারা। গ্রাহক চাইলে ইজের ব্যক্তিগত ফোনে অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারেবন।
আগের মাসেই এফবিআই পরিচালক ক্রিস রেই বলেন, তিনি হুয়াওয়ে এবং জেডটিই-এর মতো চীনা টেলিকম প্রতিষ্ঠানের পণ্যে ঠিক বিশ্বাস করতে পারেন না। এই অবিশ্বাস থেকেই এবার উদ্যোগ নিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা বিভাগ। চীনা ডিভাইসের পাশাপাশি এবার অ্যাপ নিয়েও সতর্ক থাকছে সংস্থাটি, বলা হয়েছে প্রযুক্তি সাইট সিনেট-এর প্রতিবেদনে।
অস্ট্রেলিয়ান ফিন্যান্স রিপোর্ট-এ বলা হয়, অফিসিয়াল ডিভাইসে উইচ্যাট অনুমোদিত নয়। ফেইসবুক ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হলেও হোয়াটসঅ্যাপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এখনও খতিয়ে দেখছে দেশটির নিরাপত্তা বিভাগ।
সিনেটকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বিভাগটি জানায়, “প্রতিষ্ঠানের মোবাইল ডিভাইসগুলোতে প্রতিরক্ষা বিভাগ অননুমোদিত সফটওয়্যার সরবরাহ বা এটি ব্যবহারে সমর্থন দেয় না, উইচ্যাট-এর মতো সামাজিক মাধ্যম অ্যাপ্লিকেশনগুলো এর মধ্যে রয়েছে।”
বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় যে তথ্য নিরাপত্তার শঙ্কা রয়েছে সেজন্যই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অক্টোবরে এক প্রতিবেদনে অস্ট্রেলিয়ান সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স অর্গানাইজেশন-এর পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয় যে দেশটিতে “গুপ্তচরবৃত্তি এবং বিদেশি হস্তক্ষেপের” শঙ্কা রয়েছে।
সম্প্রতি মার্কিন নাগরিকদের হুয়াওয়ে এবং জেডটিই পণ্য ব্যবহার নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়েছেন এফবিআই পরিচালক। এতে যুক্তরাষ্ট্রে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রভাব বাড়বে বলে জানিয়েছেন রেই।