অন্যদিকে অ্যামাজনের এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কনজিউমার প্রোডাক্টস সেফটি কমিশন(সিপিএসসি)। অ্যামাজনের মতো অন্যান্য হোভারবোর্ড রিটেইলার এবং প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এরকম উদ্যোগ নেবে এমনটাই আশা করছে সিপিএসসি।
প্রতিনিয়ত হোভারবোর্ড দুর্ঘটনা বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সিপিএসসি-এর তদন্তের পরিধিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন পর্যন্ত এরকম মোট ৩৯টি তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হোভারবোর্ড দূর্ঘটনায় হতাহতের পরিমান খুবই সামান্য বলে জানিয়েছে সিএনএন। তবে গুরুতর দূর্ঘটনা যে একেবারেই নেই বিষয়টি তাও নয়। হোভারবোর্ডের কারিগরি ত্রুটির কারণে এই দুর্ঘটনাগুলো ঘটেছে এমনটাই ধারণা করছে সিপিএসসি। এমনকি ১৩টি হোভারবোর্ড প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের নির্মিত হোভারবোর্ডও গবেষণা করে দেখেছে সিপিএসসি।
২০১৫ সালের ডিসেম্বর থেকেই অ্যামাজন হোভারবোর্ডের সুরক্ষাবিষয়ক গবেষণা করছে এবং সুনির্দিষ্ট কিছু হোভারবোর্ড মডেলের অর্থ ফেরত দিচ্ছে অ্যামাজন। তারই রেশ ধরে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রেও হোভারবোর্ড ক্রেতাদের অর্থ ফেরতের প্রতিশ্রুতি জানিয়ে ইমেইলে পাঠিয়েছে অ্যামাজন। তবে অর্থ ফেরত দেওয়া শুরু করলেও, নিজ প্লাটফর্মে হোভারবোর্ড বিক্রি করা বন্ধ করেনি প্রতিষ্ঠানটি।