অধিকাংশ শেয়ারের দর বৃদ্ধিতে বাজার মূলধন এক দিনেই বেড়েছে তিন হাজার ৪১০ কোটি টাকা।
Published : 10 Sep 2024, 06:26 PM
ছয় দিন পতনের পর মাথা তুলেছে শেয়ার বাজারের সূচক; সপ্তাহের তৃতীয় দিন ৭৩ পয়েন্ট যোগ হয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচকে।
সূচকের ঘরে আগের দিনের ৫ হাজার ৬২৯ পয়েন্ট নিয়ে মঙ্গলবার ঢাকার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয়েছিল। দিনশেষে ডিএসইএক্স পৌঁছেছে ৫ হাজার ৭০২ পয়েন্টের ঘরে।
অধিকাংশ শেয়ারের দর বৃদ্ধিতে বাজার মূলধন এক দিনেই বেড়েছে তিন হাজার ৪১০ কোটি টাকা। আগের ছয় দিনের পতনে বাজার মূলধন থেকে দশ হাজার কোটি টাকার বেশি হারিয়েছিল ডিএসই।
মঙ্গলবার সূচকে বড় উত্থানে টানা পতনের হতাশা থেকে বের হয়ে আসার আশা দেখছেন বিনিয়োগকারীরা।
যদিও লেনদেন আগের দিনের চেয়ে কিছুটা কমেছে। সব মিলিয়ে হাতবদল হয়েছে ৫৬২ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার। সোমবার এ বাজারে ৬২১ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।
গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে কয়েকদিন উর্ধমূখী ছিল ডিএসই প্রধান সূচক। সেইসঙ্গে লেনদেন গড়ে সাড়ে ৭০০ কোটি টাকার উপরে ছিল।
মাঝখানে কয়েকদিন লেনদেন কমে দর সমন্বয় হলেও সূচক সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৯০৩ পয়েন্ট ছিল গত ১৫ অগাস্ট। সেটাই সাম্প্রতিক সময়ে সূচকের সর্বোচ্চ অবস্থান।
এরপর ধীরে ধীরে সূচক নেমে আসে ৫ হাজার ৬০৬ পয়েন্টে। দুদিন লেনদেন হয় ৫০০ কোটি টাকার নিচে।
একটানা সূচক কমলেও গত ছয় দিনই লেনদেনের পরিমাণ ৭০০ কোটি টাকার ঘরে ছিল। যা ইঙ্গিত দেয়, ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা নিজেদের পোর্টফলিও বদলাতে শুরু করেছেন।
মঙ্গলবার লেনদেনে থাকা ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে ২৭৩টির দর বেড়েছে, ৭৬টির দর কমেছে এবং ৪৭টি কোম্পানির শেয়ার আগের দরে লেনদেন হয়েছে।
ডিএসইর লেনদেন তথ্য অনুযায়ী, একক খাত হিসেবে মোট লেনদেনে সবচয়ে বেশি ১৮ দশমিক ২২ শতাংশ অবদান রেখেছে ব্যাংক খাত। তালিকাভুক্ত ৩৬ ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন বৃদ্ধি পাওয়ার মধ্যে ২০টির দর বেড়েছে।
এরপরই ডিএসইতে একক খাত হিসেবে ১৬ শতাংশ অবদান রেখেছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। তৃতীয় অবস্থানে থাকা খাদ্য ও আনুসঙ্গিক খাতের অবদান ছিল ১১ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
একক কোম্পানি হিসেবে ডিএসইতে শেয়ার দর বৃদ্ধিতে শীর্ষে ছিল ন্যাশনল লাইফ ইন্স্যুরেন্স। ৯ দশমকি ৯৮ শতাংশ দর বেড়েছে এ শেয়ারের। দর বৃদ্ধির তালিকায় এর পরই আছে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস ও খান ব্রাদার্র্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ।
অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে নিউলাইন ক্লোদিংস। এক দিনে দর পতনের সর্বোচ্চ সীমা ১০ শতাংশের পুরোটাই হারিয়েছে এ কোম্পানি। দর হারানোর দিক দিয়ে এর পর রয়েছে কনফিডেন্স সিমেন্ট ও হামি ইন্ডাস্ট্রিজ।