চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডানকে হারিয়ে ফাইনালে আবাহনী

শেষ দিকে একটি ট‍্যাকলের রিভিউ নিয়ে বেশ উত্তেজনা ছড়ায় মাঠে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Feb 2024, 03:04 PM
Updated : 29 Feb 2024, 03:04 PM

দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে লড়াই হলো বেশ। শুরুতে এগিয়ে গেল মোহামেডান; তারা ছন্দও হারাল দ্রুত। দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াল আবাহনী। শেষ দিকে মোহামেডান ম্যাচ কিছুটা জমিয়ে তুললেও পেরে উঠল না। দারুণ জয়ে আবাহনী উঠে গেল ক্লাব কাপ হকির ফাইনালে। 

মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে ৩-২ গোলে জিতেছে আবাহনী। 

আগামী শনিবার শিরোপা লড়াইয়ে মেরিনার ইয়াংসের মুখোমুখি হবে মাহবুব হারুনের দল। 

শেষ দিকে একটি ট‍্যাকলের রিভিউ নিয়ে বেশ উত্তেজনা ছড়ায় মাঠে। তবে সবার তৎপরতায় পরিস্থিতি শান্ত হয় দ্রুতই। 

এর আগে দিনের শুরুতে প্রথম সেমি-ফাইনালে ঊষাকে ৮-৪ গোলে হারিয়ে অপরাজিত থেকে ফাইনাল খেলা নিশ্চিত করে মেরিনার্স। তাদের বিপক্ষেই ২০২১ সালে এই প্রতিযোগিতার মুকুট হারিয়েছিল আবাহনী। সেবার ৩-০ গোলে হেরেছিল তারা। এবার প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ দলটির সামনে। 

মেরিনার্সের মতোই অপরাজিত থেকে ফাইনালে উঠল আবাহনী। অ্যাজাক্সকে ৫-১ গোলে হারিয়ে গ্রুপ পর্ব শুরু করা দলটি নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ঊষা ক্রীড়া চক্রকে উড়িয়ে দেয় ৬-২ ব্যবধানে। 

গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে সেমি-ফাইনালে উঠে আসা মোহামেডানের শুরুটা ছিল আশা জাগানিয়া। পঞ্চম মিনিটে পেনাল্টি কর্নারের দুটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর তৃতীয়টি থেকে গোল তুলে নেয় তারা। রাসেল মাহমুদ জিমির পিসি থেকে ড্রাগ ফ্লিকে লক্ষ্যভেদ করেন আমিরুল ইসলাম। 

অষ্টম মিনিটে গোলমুখের জটলার ভেতর থেকে পুস্কর ক্ষীসা মিমোর গোলে সমতায় ফেরে আবাহনী। ৩২তম মিনিটে রোমান সরকারের গোলে এগিয়ে যায় তারা। 

চতুর্থ কোয়ার্টারের শুরুতে নুরুজ্জামান আক্রমণ ফেরালেও পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেননি। সার্কেলের ভেতর থেকে নিখুঁত হিটে ব্যবধান আরও বাড়ান রোমান। তাতে ম্যাচের ভাগ্য হেলে পড়ে আবাহনীর দিকে। কিন্তু নাটকীয়তার তখনও ঢের বাকি। 

নির্ধারিত সময়ের খেলা চার মিনিট বাকি থাকতে পেনাল্টি স্ট্রোক থেকে লক্ষ্যভেদ করে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন নিউ জিল্যান্ডের চার্ল উলরিচ। কিন্তু মোহামেডান আর পায়নি সমতাসূচক গোলের দেখা। 

শেষের বাঁশি বাজার আগ মুহূর্তের একটি ট্যাকল নিয়ে রিভিউয়ের আবেদন করেন মোহামেডান অধিনায়ক রাসেল মাহমুদ জিমি, কিন্তু আম্পায়ার সাড়া দেননি। তাতে উত্তাপ ছড়ায় দুই শিবিরে। এক পর্যায়ে শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি। তবে দুই পক্ষের বাকিদের তড়িৎ পদক্ষেপে ঘটনায় এগোয়নি বেশি দূর। 

ধাক্কাধাক্কি থামলেও মাঠে থেকে যায় মোহামেডান। আবাহনীর খেলোয়াড়রা টার্ফ ছেড়ে অবস্থান নেয় স্কোরবোর্ডের নিচে। মিনিট পনেরো পর স্কোরবোর্ডে ভেসে ওঠে যে ঘটনা নিয়ে মোহামেডানের রিভিউয়ের আবেদন, সেই দৃশ্য। কয়েক দফা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখে সেখানে কিছু পাননি আম্পায়ার শাহাবাজ আলি। এরপর শেষের বাঁশি আবারও বাজান আম্পায়ার।