৯৪ মিনিট ফিলিস্তিনকে আটকে রাখার তৃপ্তি কাবরেরার

হারের হতাশা থাকলেও বাংলাদেশ কোচ তুষ্টি খুঁজে নিচ্ছেন রক্ষণের দৃঢ়তাপূর্ণ পারফরম্যান্সের মধ্যেই।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 March 2024, 01:24 PM
Updated : 26 March 2024, 01:24 PM

প্রথম লেগে বাংলাদেশ প্রথম গোল হজম করেছিল ৪৩তম মিনিটে। এবার শক্তিশালী ফিলিস্তিনের বিপক্ষে দল রক্ষণভাগ জমাট রাখতে পারল ৯৪তম মিনিট পর্যন্ত। শেষ সময়ে পয়েন্ট পাওয়ার দারুণ আশা গুঁড়িয়ে গেলেও বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা তুষ্টি খুঁজে নিচ্ছেন রক্ষণের দৃঢ়তাপূর্ণ পারফরম্যান্সের মধ্যেই।

২০২৬ বিশ্বকাপ ও ২০২৭ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের ম্যাচে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ১-০ গোলে হারে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ৯৪তম মিনিটে ম্যাচের নির্ণায়ক গোলটি করেন মিচেল তেরমানিনি।

প্রথমার্ধের শেষ দিকে গোলের সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করে বাংলাদেশ। গোলরক্ষক মিতুলের কিকের পর রাকিব হোসেন হেড পাসে বল বাড়ান জামাল ভূঁইয়ার উদ্দেশে। দুই ডিফেন্ডারের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে অধিনায়কের থ্রু পাস ধরে টোকা দিয়েছিলেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, কিন্তু বল লাগে পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসা গোলরক্ষকের গায়ে।

এমন সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার পর শেষ দিকের গোলে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে টানা সপ্তম হারের তেতো স্বাদ পেতে হয়েছে দলকে। হতাশা থাকলেও দলের পারফরম্যান্স নিয়ে বরাবরের মতোই তুষ্টির কথা জানালেন কাবরেরা।

“ফুটবলে এমনটা হতে পারে। আমাদের দল নিয়ে গর্বিত হওয়া উচিত, বিশেষ করে প্রথমার্ধে আমরা জমাট ছিলাম। যদিও ওরা বল পজিশনে এগিয়ে ছিল, কিন্তু আমরা আধিপত্য করেছি, ভীত ছিলাম না। পরিস্থিতি ভালোভাবে সামাল দিয়েছি। অনেকগুলো কর্নার পেয়েছিল ওরা, সেগুলোও আমরা ভালোভাবে ডিফেন্ড করেছি। শেষ দিকে আমরাও কিছু সুযোগ পেয়েছিলাম, কিন্তু কাজে লাগাতে পারিনি।”

“দ্বিতীয়ার্ধেও ভালো শুরু করলাম। কিন্তু আবারও ছন্দ পতনের মুহূর্ত এলো, কিন্তু পরে আমরাও সম্ভবত জয়ের সুযোগ পেয়েছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শারীরিক শক্তিনির্ভর দলের বিপক্ষে আমরা জাল অক্ষত রাখতে পারলাম না; এটা হতে পারে। যাই হোক, ৯৪ মিনিট… আমাদের জন্য দারুণ ছিল। দল ভীষণ ইতিবাচক ছিল। এখন আমাদের জুনের পরবর্তী চ্যালেঞ্জ নিয়ে ভাবতে হবে।”

প্রথম লেগে কুয়েতের মাঠে ৫-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। গোল হজম করেছিল প্রথমার্ধের শেষ দিকে। ফিরতি লেগে গোলরক্ষক মিতুলের দৃঢ়তা আর রক্ষণের প্রশংসা করলেন কাবরেরা।

“প্রথম লেগে আমরা হাই ডিফেন্ডিং করেছিলাম, সেট পিস দিয়েছিলাম… এ ধরনের পরিস্থিতি দ্বিতীয় লেগে আমরা এড়াতে পেরেছি, আপনারা দেখেছেন। ৯৪তম মিনিট পর্যন্ত আমরা রক্ষণ জমাট রেখেছিলাম। প্রথম লেগে আমরা ৪০ মিনিট রক্ষণ জমাট রেখেছিলাম, আজ ৯৪ মিনিট পর্যন্ত পেরেছি।”

শেষ দিকে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন পোস্টের নিচে বিশ্বস্ত দেয়াল হয়ে থাকা মিতুল। বদলি মেহেদী হাসান শ্রাবণ পারেননি দুর্দান্ত কিছু করতে। মিতুলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ কাবরেরা হলেন ঠিকই, কিন্তু পয়েন্ট না পাওয়ার হতাশা ঘুরেফিরেই এলো তার কণ্ঠে।

“মাসের পর মাস সে (মিতুল) পারফরম করছে। সে সেই পর্যায়ে আছে। মিতুল আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দেখা যাক, তার কি হয়েছে, কি অবস্থা সেটা দেখতে হবে। ৯৫ মিনিট পর্যন্ত পয়েন্ট পাওয়ার জন্য লড়াই করেছি আমরা। আপনাদেরকে এর চাপ ও অ্যাটেনশন বুঝতে হবে। ফিলিস্তিনের বিপক্ষে যারা ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ৯৭তম স্থানে আছে, তাদের বিপক্ষে পয়েন্ট পাওয়ার জন্য যতটা সম্ভব চেষ্টা করেছি আমরা, যেটা আমাদের মান দেখাচ্ছে।”

“(শেষ দিকে গোল খাওয়া) এটা মনোযোগের ঘাটতি নয়। কখনও আপনি প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল পাবেন, কখনও পাবে না। এটা হতাশাজনক। আসলেই আজ তাদের চেয়েও আগে আমাদের গোল প্রাপ্য ছিল। পয়েন্ট না পাওয়াই অবশ্যই হতাশ।”