টঙ্গীর শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে সোমবার দুই দলের ম্যাচটি ১-১ ড্র হয়েছে। চলতি লিগে তিন ম্যাচে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো পয়েন্ট ভাগাভাগি করল দুই দল।
লিগে মোহামেডান-চট্টগ্রাম আবাহনীর ম্যাচের ভাগ্যে যেন ড্র ফলই লেখা! গত লিগেও দুই দলের ম্যাচ দুটি যথাক্রমে ১-১ ও ২-২ ড্র হয়েছিল।
শুরু থেকে জাফর ইকবাল ও শাহরিয়ার ইমন বিপজ্জনক কিছু ক্রসে চট্টগ্রাম আবাহনীর বক্সে ভীতি ছড়ান কিন্তু আক্রমণভাগের সেরা তারকা দিয়াবাতে পারেননি গোলরক্ষকের পরীক্ষা নিতে।
ত্রয়োদশ মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগ পায় চট্টগ্রাম আবাহনী। কিন্তু দলটির আফগান মিডফিল্ডার অমিদ পোপালজাইয়ের ভলি ফেরান মোহামেডান গোলরক্ষক।
২৬তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোল পায় আগের ম্যাচে স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘকে হারিয়ে আসা মোহামেডান। ইমনের পাস ধরে বক্সে ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে দূরূহ কোণ থেকে বুলেট গতির শটে লক্ষ্যভেদ করেন দিয়াবাতে। লিগে টানা তিন ম্যাচে গোল পেলেন মালির এই ফরোয়ার্ড।
দুই মিনিট পর সোহেল রানার ক্রসে গোলমুখে থেকে হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি জাহিদ। দারুণ সুযোগ হেলায় হারিয়ে হতাশা প্রকাশ করতে দেখা যায় চট্টগ্রাম আবাহনী এই ফরোয়ার্ডকে।
৩৩তম মিনিটে ইমনের বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শট ক্রসবারের উপর দিয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে লক্ষ্যভ্রষ্ট ভলিতে ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারেননি দিয়াবাতে।
৪৮তম মিনিটে কামরুলের দারুণ গোলে সমতায় ফিরে চট্টগ্রাম আবাহনী। এই ডিফেন্ডারের কর্নারে বল বাতাসে ভেসে বাঁক খেয়ে সরাসরি ঢোকে জালে। যদিও সেই গোল নিয়ে নাটক জমে ওঠে বেশ। চট্টগ্রাম আবাহনীও শুরুতে বুঝে উঠতে পারেনি, এটি গোল!
বল জালে ঢুকলেও ডিফেন্ডার মাসুদ রানা হেড করে ফিরিয়ে দেন। তবে রেফারি একটু সময় নিয়ে সিদ্ধান্ত দেন, রানা হেড করার আগেই বল পেরিয়ে গেছে গোললাইন।
৫৬তম মিনিটে ডান দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা আরিফুল ইসলামের কোনাকুনি শট ঠেকিয়ে দেন মোহামেডানের গোলরক্ষক সুজন হোসেন। এরপর দুই দলের খেলার গতি আরও কমে যায়!
ম্যাড়মেড়ে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে ১০ জনের দলে পরিণত হয় মোহামেডান। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন রানা। তিন ম্যাচের মধ্যে দুটিতেই লালকার্ড দেখলেন এই ডিফেন্ডার। শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে সরাসরি লাল কার্ড দেখেছিলেন তিনি।
এদিকে মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে দিনের অপর ম্যাচে স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ ও উত্তর বারিধারা গোলশূন্য ড্র করেছে।
তিন রাউন্ড শেষে ৭ করে পয়েন্ট আবাহনী ও শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের। ৬ করে পয়েন্ট সাইফ স্পোর্টিং ও বসুন্ধরা কিংসের। মোহমেডান, চট্টগ্রাম আবাহনী ও শেখ রাসেল পেয়েছে ৫ করে পয়েন্ট।