সবশেষ রোববার লা লিগায় ওসাসুনার মাঠে নিজেদের মেলে ধরেন তিন তরুণ। দুই অর্ধে দুইবার দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন নিকো গনসালেস ও আব্দেসামাদ। পুরো ম্যাচ জুড়ে দারুণ খেলা গাভি অবদান রাখেন গনসালেসের দলকে প্রথম এগিয়ে নেওয়া গোলে।
ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে এই তিনজনকে প্রশংসায় ভাসান শাভি। পাশাপাশি দলের অভিজ্ঞ সদস্যরা প্রত্যাশিত পারফর্ম না করতে পারায় হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।
“আব্দেসামাদ, গাভি ও নিকো অসাধারণ খেলেছে, তারা কঠিন মুহুর্তে দলকে সাহায্য করছে। তরুণরা পার্থক্য গড়ে দিচ্ছে আর এটি মেনে নেওয়া কঠিন।”
“এটি একই সঙ্গে ইতিবাচক ও নেতিবাচক, কারণ বয়সে তরুণ হওয়ায় তারা সবসময় দারুণ খেলতে পারবে না।”
তরুণদের ওপর চাপ না বাড়িয়ে দলের সবাইকে নিজেদের কাজটা ঠিকঠাকমত করার আহ্বান শাভির কণ্ঠে।
"শুধু তারাই দলে অবদান রাখলে চলবে না, অন্য খেলোয়াড়দেরও কাজ করতে হবে। আমাদের সবার একে অপরের কাছ থেকে আরও বেশি চাইতে হবে।"
৮৬ মিনিট পর্যন্ত ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে দুই ম্যাচ পর জয়ের সুবাস পাচ্ছিল কাতালান দলটি। এরপরই ডি-বক্সের বাইরে থেকে আভিলার শট বার্সেলোনার ডিফেন্ডার সামুয়েল উমতিতির পায়ে লেগে জালে জড়ায়। ওই গোলে ওসাসুনার আক্রমণের সূচনা হয়েছিল কর্নার কিক থেকে।
শাভির মতে, অন্তিম মুহূর্তে তারা প্রতিপক্ষকে ম্যাচে ফেরার সুযোগ করে দিয়েছেন। বেশ কিছু জায়গায় উন্নতির সুযোগ দেখছেন তিনি।
"(এক) পয়েন্ট অপর্যাপ্ত, আমাদের বাজে অভিজ্ঞতা হলো। ২-১ এ এগিয়ে থাকা অবস্থায় আমরা ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। আমাদের পজেশন ধরা রাখা উচিত ছিল, কিন্তু আমরা সফল হতে পারিনি।”
“আমরা শান্ত থেকে ঠিকঠাকভাবে খেলতে পারিনি, এমনকি আমরা বল দখলেও আধিপত্যও করতে পারিনি। কারণ তারা আমাদের চেপে ধরেছিল আর তাতে আমাদের ভুগতে হয়। সমতাসূচক গোলটি কর্নার কিক থেকে এসেছে। তারা এই কৌশলেই খেলে। আমাদের জন্য (নিজেদের সীমানায়) রক্ষণ সামলানো খুব কঠিন হয়ে যাচ্ছে এবং এভাবে চলতে পারে না। অনেক জায়গায় উন্নতি করার আছে।”
লিগ শিরোপা পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে বার্সেলোনা। ১৬ ম্যাচে ৬টি করে জয় ও ড্রয়ে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম স্থানে আছে তারা।
১৭ ম্যাচে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে রিয়াল মাদ্রিদ। এক ম্যাচ কম খেলা সেভিয়া ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে আছে দুইয়ে।