‘ম্যাচ ফিক্সিং রুখতে’ গিয়ে ম্যাচ ফিক্সিংয়েই অভিযুক্ত!

ঘানার শীর্ষ লিগে ‘আগে থেকে ঠিক করে রাখা’ স্কোর লাইন ভেস্তে দিতে গিয়ে নিজেদের জালেই দুইবার বল পাঠিয়ে দিলেন হাসমিন মুসাহ! এই কাণ্ডে দেশটির ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন তার বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিং ও খেলাকে অসম্মানিত করার অভিযোগ এনেছে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Sept 2021, 01:59 PM
Updated : 25 Sept 2021, 03:18 PM

গত ১৭ জুলাই ঘানা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে আশান্তি গোল্ডের বিপক্ষে ৭-০ গোলে হারে ইন্টার অ্যালাইজ। দুটি আত্নঘাতী গোল করা হাশমিন ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের জানান, ৫-১ স্কোরলাইনে ম্যাচটি শেষ করার ফিক্সিং হতে পারে এই সন্দেহ থেকে সেটা ভেস্তে দিতে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে এ কাজ করেন।

“আমি আমাদের হোটেলে শুনেছিলাম যে, আমার ক্লাব ইন্টার অ্যালাইজের বিপক্ষে ৫-১ স্কোরলাইনের জন্য বাজি ধরা হয়েছে। আমি বাজিটি ভেস্তে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। কারণ, আমি বাজি ধরার বিপক্ষে। খেলার পর আমার টেকনিক্যাল টিম তাদের বাজি নষ্ট করে দেওয়ার জন্য আমার প্রশংসা করেছিল।”

হাশমিনসহ উভয় ক্লাবের ১৮ জন খেলোয়াড় ও ছয়জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধে অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের সবার বিরুদ্ধেই ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ রয়েছে।

হাশমিনকে শুক্রবারের মধ্যে আত্নপক্ষ সমর্থন করে বিবৃতি দেওয়ার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে।

ইন্টার অ্যালাইজের ৩ জন ও তিনবারের ঘানা চ্যাম্পিয়ন আশান্তি গোল্ডের ১৫ জন খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে এবং দোষী সাব্যস্ত হলে সবাইকেই একই শাস্তিমূলক মামলার মুখোমুখি হতে হবে।

ইন্টার অ্যালাইজের প্রধান কোচ, টিম ম্যানেজার ও ক্লাবের একজন কর্মকর্তা ছাড়াও আশান্তি গোল্ডের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহীর বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়েছে।

ঘানা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (জিএফএ) অভিযুক্তদের বিবৃতি হাতে পাওয়ার পর মামলাগুলোর সুরাহা করবে, সবগুলো (বিবৃতি) আগামী সোমবারের মধ্যে পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তারা।

২০১৮ সালে ঘানার আন্ডারকভার সাংবাদিক আনাস আরমেয়াউ আনাসের একটি অনুসন্ধানী তথ্যচিত্রে ঘানার শীর্ষ কর্মকর্তা এবং রেফারিদের ম্যাচ-ফিক্সিং সম্পর্কিত কার্যক্রম প্রকাশিত হয়েছিল।

সাম্প্রতিক ম্যাচ ফিক্সিংয়ের ঘটনায় পুরনো সমস্যাটি আবার সামনে চলে এলো।