লিঁওর বিপক্ষে রোববার রাতে মেসিকে যখন তুলে নেওয়া হয়, ম্যাচে তখন ১-১ সমতা। ৭৫ মিনিটে মেসির জায়গায় ডিফেন্ডার আশরাফ হাকিমিকে নামান কোচ।
মাঠে অবশ্য বাঁ হাঁটু নিয়ে কিছুটা অস্বস্তি দেখা যাচ্ছিল মেসির। তবে আঙুলের ইশারায় তিনি জানিয়ে দেন যে চালিয়ে যেতে চান। তার পরও কোচ যখন উঠিয়ে নেন, মেসিকে অবাক ও খানিকটা হতভম্ব দেখা হয়। মাঠ ছাড়ার সময় খুব একটা সন্তুষ্ট মনে হয়নি তাকে।
কোচের আরেকটি পরিবর্তন অবশ্য কাজে লাগে দারুণভাবে। ৮২ মিনিটে মাঠে নামানো মাউরো ইকার্দি যোগ করা সময়ে গোল করে রোমাঞ্চকর জয় এনে দেন দলকে।
ম্যাচের পর কোচের সংবাদ সম্মেলনে অনুমিতভাবেই উঠল মেসিকে উঠিয়ে নেওয়ার প্রসঙ্গ। পচেত্তিনো ব্যাখ্যা করলেন কারণ।
“আমার মনে হয়, আমরা সবাই জানি যে আমাদের ৩৫ জনের স্কোয়াডে দারুণ সব ফুটবলার আছে। কেবল ১১ জনই একসঙ্গে খেলতে পারে। এর বেশি খেলানো সম্ভব নয়। মাঠের সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয় দল ও প্রতিটি খেলোয়াড়ের ভালোর জন্যই।”
“সব কোচের ভাবনায় এটিই থাকে। কখনও এসব কাজে লাগে, কখনও লাগে না। কখনও ফুটবলাররা এসব পছন্দ করে, কখনও করে না। দিনশেষে, আমরা তো এ কারণেই এখানে আছি!”
মাঠ ছাড়ার সময় কোচের সঙ্গে মেসিকে কথা বলতেও দেখা যায়। অনুমান করে নিতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়, উঠিয়ে নেওয়ার প্রসঙ্গেই ছিল সেই কথোপকথন। মেসির শরীরী ভাষায় ছিল অসন্তুষ্টি। তবে পচেত্তিনো ম্যাচ শেষে দাবি করলেন, মেসির কোনো সমস্যা নেই।
“এই সিদ্ধান্তগুলি কোচকে নিতেই হয়। প্রতিক্রিয়ার কথা বললে, আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম সে কেমন বোধ করছে। সে বলল যে ঠিকঠাক আছে। এই তো, এটাই ছিল আমাদের কথোপকথন।”