দেশের মাঠে কোপার ট্রফি হাতে আপ্লুত মেসি

এমন একটি মুহূর্তের কত ছবি এঁকেছেন মনের কোণে। কত কিছুই না ভেরে রেখেছেন। আর্জেন্টিনার মাঠে দুই হাতে তুলে ধরবেন দেশের হয়ে জেতা কোনো শিরোপা। সেই স্বপ্ন সত্যি হলো এবার। ২৮ বছরের খরা কাটানো কোপা আমেরিকার ট্রফি সতীর্থদের নিয়ে দর্শকদের দেখালেন লিওনেল মেসি। 

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Sept 2021, 09:26 AM
Updated : 10 Sept 2021, 09:26 AM

স্তাদিও মনুমেন্তালে অনায়াস জয়। দর্শকদের নিয়ে দীর্ঘ খরা কাটানো ট্রফি উদযাপন। হ্যাটট্রিক আনন্দের সঙ্গে ফুটবল কিংবদন্তি পেলের রেকর্ড ভাঙা। প্রাপ্তির এক দিনে আবেগ ছুঁয়ে গেছে রেকর্ড ছয়বারের বর্ষসেরা ফুটবলারকে। চোখে জল নিয়ে জানালেন প্রতিক্রিয়া।

বাংলাদেশ সময় শুক্রবার ভোরে শুরু হওয়া ম্যাচ দিয়ে জাতীয় দলের খেলা দেখতে মাঠ ফেরে দর্শক। বলিভিয়ার বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয় মাঠে থেকে দেখেন ২১ হাজার জন।

ম্যাচটিতে পয়েন্ট হারিয়ে শিরোপা উদযাপন মাটি না করার তাগিদ আগেই দিয়েছিলেন মেসি। পরে নিজেই নিশ্চিত করেন, ম্যাচ জুড়ে থাকছে উৎসবের আমেজ। প্রথমার্ধে দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে করেন দুই গোল।

৭৯ গোল নিয়ে লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবচেয়ে বেশি গোল এখন মেসির। এতদিন সবার ওপরে থাকা পেলের গোল ৭৭টি।

দেশের মাটিতে শিরোপা উঁচিয়ে ধরার স্বপ্ন পূরণের মুহূর্তে বাঁধ মানেনি মেসির চোখের জল। এর মাঝেও জানালেন, কতটা আরাধ্য ছিল এই শিরোপা।

“একটা সময় আমি খুবই উদ্বিগ্ন ছিলাম। খুব করে আমি এটা উপভোগ করতে চেয়েছিলাম। এর জন্য আমি লম্বা সময় অপেক্ষা করেছি। চেষ্টা করেছি এবং এটা নিয়ে স্বপ্ন দেখেছি। এত দীর্ঘ অপেক্ষার পর যেভাবে এসেছে সেদিক থেকে এটা অনন্য এক মুহূর্ত।”

গত জুলাইয়ে ব্রাজিলকে তাদের মাটিতেই হারিয়ে কোপা আমেরিকার শিরোপা জেতে আর্জেন্টিনা। জাতীয় দলের হয়ে এটাই মেসির প্রথম শিরোপা। ১৯৯৩ সালের পর দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের প্রথম বড় শিরোপা।

মেসি একাই নন, তার পরিবারও ভুগেছে অপেক্ষার এই সময়ে। আর্জেন্টিনা অধিনায়কের স্বপ্ন পূরণের দিনে স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন তারাও।

“এখানে আসা ছাড়া এই শিরোপা এর চেয়ে ভালোভাবে উদযাপনের আর কোনো পথ নেই। এখানে মা আছেন, আমার ভাই-বোন উপস্থিত আছে। ওরাও অনেকে ভুগেছে আর আজ এখানে তারাও উদযাপন করছে। আমি খুব খুশি।” 

১০ দলের বাছাইয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে ব্রাজিলের পরে দুই নম্বরে রয়েছে আর্জেন্টিনা।