অল ইংল্যান্ড টেনিস ক্লাবের সেন্টার উইকেটে শনিবার নারী এককের ফাইনালে ৬-৩, ৬-৭ (৪-৭), ৬-৩ গেমে শিরোপা জেতেন ২৫ বছর বয়সী বার্টি।
৪১ বছরে প্রথম অস্ট্রেলিয়ান নারী হিসেবে উইম্বলডন এককে চ্যাম্পিয়ন হলেন ডব্লিউটিএ র্যাঙ্কিংয়ের সেরা তারকা। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক টেনিস তারকা ইভন গুলাগং কলি তার দুই উইম্বলডন শিরোপার শেষটি জিতেছিলেন ১৯৮০ সালে।
বার্টি ও প্লিসকোভা, দুজনের জন্যই এটি ছিল উইম্বলডনের প্রথম ফাইনাল। দারুণ পারফরম্যান্সে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতলেন বার্টি। প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের স্বাদ পেয়েছিলেন তিনি ২০১৯ সালের ফরাসি ওপেনে। সেবছর ডব্লিউটিএ ট্যুর ফাইনালসও জিতেছিলেন তিনি।
১০ বছর আগে উইম্বলডনের জুনিয়র এককে বার্টি জিতেছিলেন ১৫ বছর বয়সে। সেখানেই এবার ফাইনালে নামার আগে প্রতিপক্ষের চেয়ে মানসিকভাবে এগিয়ে ছিলেন তিনি। মুখোমুখি লড়াইয়ে আগের সাত ম্যাচে তার জয় ছিল পাঁচটি। সংখ্যাটা বাড়ল আরও।
২৯ বছর বয়সী প্লিসকোভা প্রথম সেটে হারের পর দ্বিতীয় সেটের একাদশ গেমে নিজের সার্ভে পয়েন্ট হারিয়ে বসেন। সেখানেই হয়তো তার হার দেখে ফেলেছিল অনেকে। কিন্তু পরের সেটেই বার্টির সার্ভিস ব্রেক করে টাইব্রেকারে নেন চেক রিপাবলিকের এই খেলোয়াড় এবং তাতে জিতেও যান।
তৃতীয় সেটের শুরুতেই অবশ্য খেই হারান র্যাঙ্কিংয়ে ১৩ নম্বর খেলোয়াড়। প্রথম গেমে তার সার্ভিসে পয়েন্ট তুলে নেন বার্টি। এরপর আর সম্ভাবনা জাগাতে পারেননি প্লিসকোভা।
“সে (প্লিসকোভা) আমার সেরাটা বের করে এনেছে। আমি নিজেকে নিয়ে গর্বিত যে তৃতীয় সেটের শুরুতে লড়াইটা চালিয়ে যেতে পেরেছি।”
“গত রাতে আমি ঘুমাতে পারিনি…তবে কোর্টে নামার পর থেকেই আমি স্বচ্ছন্দ ছিলাম। এই টুর্নামেন্ট জিততে চাই, এই বিশ্বাস পেতে আমার সময় লেগেছে। তবে যতটা ভেবেছিলাম, এটা (অনুভূতি) তার চেয়েও ভালো।”