ওয়েম্বলিতে আগামী রোববার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ইউরো ২০২০ অভিযান শুরু করবে ২০১৮ বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট ক্রোয়েশিয়া।
ইউরোপা লিগের শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে টটেনহ্যামের বিপক্ষে ৩-০ গোলে জিতেছিল ক্রোয়েশিয়ার চ্যাম্পিয়ন জাগরেভ। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধানের অগ্রগামিতায় উঠেছিল পরের ধাপে।
ইউরোপা লিগের ওই ম্যাচে পেতকোভিচের প্রতিপক্ষ ছিলেন হ্যারি কেইন। দুজনে এবার লড়বেন জাতীয় দলের জার্সিতে। পেতকোভিচ মুখিয়ে আছেন কেইনকে আবারও হারাতে।
“হ্যারির বিপক্ষে আবারও জিততে পারলে আমার ভালো লাগবে। দারুণ ব্যাপার হবে, যদি আমরা ইউরোপার ওই সাফল্য টেনে আনতে পারি জাতীয় দলের লড়াইয়ে।”
“(ইউরোপা লিগের) ওই রাতের দারুণ সব স্মৃতি আমার আছে এবং আমার ক্লাব ক্যারিয়ারের উজ্জ্বলতম স্মৃতিগুলোর একটি সেটা।”
তারকা ফরোয়ার্ড মারিও মানজুকিচ জাতীয় দলকে বিদায় বলে দেওয়ার পর পেতকোভিচের কাছে ক্রোয়াটদের প্রত্যাশা অনেক। এখন পর্যন্ত তার সামান্যই পূরণ করতে পেরেছেন ২৬ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। তবে ইউরোতে আলো ছড়াতে আশাবাদী তিনি।
“বাজে সময় কেটেছে, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, ইউরোতে ভালো করার সমার্থ্য আমার রয়েছে। অবশ্যই আমার কাঁধে অনেক দায়িত্ব আছে, কিন্তু (আমি মনে করি) লাগাতার চাপ এবং ভীতি ভালো কিছু বয়ে আনে না।”
“ইংল্যান্ডের সামর্থ্য সম্পর্কে আমরা জানি এবং তাদের দলের প্রতিটি খেলোয়াড়ের যোগ্য বিকল্পও আছে, যেহেতু তারা সবাই ইউরোপের শীর্ষ ক্লাবগুলোতে খেলে। আমরা তাদের নির্দিষ্ট কোনো খেলোয়াড়ের দিকে দৃষ্টি দিচ্ছি না, যেহেতু দলটি অসাধারণ খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া। তাই আমাদের মনোযোগ পুরো দল নিয়ে। তবে নিজেদের সামর্থ্য নিয়েও আশাবাদী আমরা।”