ইউনাইটেডকে রুখে দিল ফুলহ্যামও

অ্যাওয়ে ম্যাচে যতটা দুর্দান্ত, ঘরের মাঠে যেন ততটাই বিবর্ণ বর্তমানের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। আগের দুই ম্যাচে হারের থাক্কা তারা কাটিয়ে উঠতে পারল না এবারও। অবনমন নিশ্চিত হয়ে যাওয়া ফুলহ্যামের বিপক্ষেও হোঁচট খেয়েছে উলে গুনার সুলশারের দল।

শিরোপা লড়াই শেষ হয়ে গেছে আগেই। প্রতিপক্ষের মাঠে টানা ২৫ ম্যাচ অপরাজিত ইউনাইটেডের এখন চাওয়া যতটা ভালোভাবে সম্ভব লিগ শেষ করা। সে লক্ষ্যে মঙ্গলবার কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে তারা। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে প্রথমে এগিয়ে গিয়েও ১-১ ড্র করেছে ইউনাইটেড।

করোনাভাইরাসের প্রকোপে এতদিন দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে হয়ে আসছিল ম্যাচ। প্রায় ১৪ মাস পর এই ম্যাচ দিয়ে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে দর্শক ফিরল। দুর্দান্ত এক গোলে উপলক্ষটা শুরুতেই রাঙান এদিনসন কাভানি। কিন্তু শেষ দিকে জো ব্রায়ান ইউনাইটেডের জালে বল পাঠালে স্বাগতিকদের দর্শক উল্লাস থেমে যায়।

লিগে এই নিয়ে ঘরের মাঠে টানা তিন ম্যাচ জয়শূন্য রইল ইউনাইটেড। আগের দুই রাউন্ডে লেস্টার সিটির বিপক্ষে হারের পর লিভারপুলের বিপক্ষে হেরেছিল রেড ডেভিলরা।

ম্যাচের পঞ্চদশ মিনিটে দৃষ্টিনন্দন গোলে দলকে এগিয়ে নেন কাভানি। প্রতিপক্ষের একটি আক্রমণ রুখে দেওয়ার পর সতীর্থের থ্রু বল মাঝমাঠে পেয়ে ছুট লাগান উরুগুয়ের তারকা। খেয়াল করেন গোলরক্ষক আলফুঁস আরিওলা বেশ খানিকটা এগিয়ে আছেন, সুযোগ বুঝে অনেক দূর থেকে কাভানির নেওয়া শট আরিওলার ওপর দিয়ে ঠিকানা খুঁজে পায়।

দ্বিতীয়ার্ধের দশম মিনিটে ম্যাসন গ্রিনউডের ভলি ঠেকিয়ে ব্যবধান বাড়তে দেননি আরিওলা। চার মিনিট পর ডাবল সেভে জাল অক্ষত রাখেন স্বাগতিক গোলরক্ষক দাভিদ দে হেয়া।

৭৬তম মিনিটে গোল খেয়ে বসে তারা। ডান দিক থেকে সতীর্থের ক্রস ছয় গজ বক্সের বাইরে ফাঁকায় হেডে সহজেই স্কোরলাইন ১-১ করেন জো ব্রায়ান।

৩৭ ম্যাচে ২০ জয় ও ১১ ড্রয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পয়েন্ট ৭১। এক ম্যাচ কম খেলে ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে আছে লেস্টার সিটি।

লেস্টারের সমান ৩৬ ম্যাচে ৬৪ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে চেলসি। ১ পয়েন্ট কম নিয়ে পঞ্চম স্থানে লিভারপুল।