গোলের কীর্তির পর বাবাকে মনে পড়ছে আলিসনের

তার কাজ গোল ঠেকানো, সেই তিনিই কী না অন্তিম সময়ে গোল করে দলের ত্রাতা। লিভারপুলকে রাখলেন শেষ চারে থাকার লড়াইয়ে। দলটির ১২৯ বছরের ইতিহাসে প্রথম গোলরক্ষক হিসেবে গোল করার পর যেন আবেগ ছুঁয়ে যাচ্ছে আলিসনকে। ব্রাজিলিয়ান এই গোলরক্ষকের মনে পড়ছে প্রয়াত বাবাকে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 May 2021, 12:04 PM
Updated : 17 May 2021, 12:04 PM

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে গত রোববার ওয়েস্ট ব্রমউইচ অ্যালবিয়নের মাঠে ২-১ গোলে জেতে লিভারপুল। রবসন কানুর গোলে পিছিয়ে পড়ার পর দলকে সমতায় ফেরান মোহামেদ সালাহ। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে হেডে জয়সূচক গোলটি করেন আলিসন। এতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পরের মৌসুমে খেলার আশা এখনও বেঁচে আছে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল।

অতিরিক্ত সময়ের শেষ দিকে কর্নারের সুযোগ কাজে লাগাতে পোস্ট ছেড়ে ওয়েস্ট ব্রমউইচের বক্সে চলে আসেন আলিসন। অ্যালেকজান্ডার-আর্নল্ডের কর্নারে হেডে জাল খুঁজে নেন তিনি। ৩ পয়েন্ট পাওয়ায় তাকে ঘিরে উল্লাসে মেতে ওঠে লিভারপুল।

প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে ষষ্ঠ গোলরক্ষক হিসেবে গোল করলেন আলিসন। আর এই তালিকায় হেডে জালের দেখা পাওয়া প্রথমজন তিনি। লিভারপুলের ১২৯ বছরের ইতিহাসে তো প্রতিযোগিতামূলক কোনো ম্যাচে গোল করার রেকর্ড নেই দলটির কোনো গোলরক্ষকের।

এমন কীর্তির পর ম্যাচ শেষে স্কাই স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি আলিসন। সেখানেই বাবার কথা বলেন তিনি।

“তিনি যদি গোলটি দেখার জন্য এখানে থাকতেন। আমি নিশ্চিত, তিনি ঈশ্বরকে নিয়ে উদযাপন করছেন।”

“আমার মনে হয়, এটা আমার অন্যতম সেরা গোল।” এটাই তার একমাত্র গোল মনে করিয়ে দেওয়ার পর যোগ করেন, “আমার করা সেরা গোল।”

এরপর রসিকতা করে বলেন, “আশা করি, আমাকে খুব বেশিবার গোল করার জন্য এগিয়ে আসতে হবে না।”

আলিসনের বাবা জোসে অগাস্তিনিয়ো গত ফেব্রুয়ারিতে ৫৭ বছর বয়সে মারা যান। এরপর থেকে মানসিকভাবে কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তার পরিবার, জানালেন আলিসন।

“গত মাসে আমার এবং আমার পরিবারের সঙ্গে ঘটা সবকিছু নিয়ে আমি খুবই আবেগী হয়ে পড়ছি। তবে ফুটবল আমার জীবন...  ”

ম্যাচে অসংখ্য সুযোগ তৈরি করেও ম্যাচ জয়ী গোলটি পাচ্ছিল না লিভারপুল। ড্রয়ের শঙ্কা জেগেছিল প্রবলভাবে। যোগ করা সময়ে দলের ত্রাতা হতে পেরে বেশ উৎফুল্ল গোলরক্ষক আলিসন।

“কিছু সময় অনেক লড়াই করলেও প্রত্যাশিত ফল পাওয়া যায় না। আমি তাদের সাহায্য করতে পেরে খুশি, কারণ আমরা এক সঙ্গে লড়াই করেছি এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আশা বাঁচিয়ে রাখার জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ গোলটি পেয়েছি। কারণ, আমরা শিরোপাটি একবার জিতেছি এবং সবকিছুর শুরুই হয় সেখানে জায়গা করে নেওয়া থেকে।”

“তাই, এখন যতটা খুশি, এর চেয়ে বেশি খুশি হতে পারব না আমি।”

৩৬ ম্যাচে ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে লিভারপুল। সমান ম্যাচে ৬৪ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে চেলসি। তৃতীয় স্থানে থাকা লেস্টার সিটির পয়েন্ট ৬৬। লিগের বাকি মাত্র দুই রাউন্ডের খেলা।

আগেই শিরোপা নিশ্চিত করা ম্যানচেস্টার সিটির পয়েন্ট ৮৩। ১৩ পয়েন্ট পিছিয়ে দুইয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।