বার্সার ‘সুপার লিগ ভাগ্য’ সদস্যদের হাতে

ইউরোপিয়ান সুপার লিগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে বার্সেলোনার নাম থাকলেও বিতর্কিত এই টুর্নামেন্টে কাতালান ক্লাবটির খেলা নিশ্চিত নয়। স্প্যানিশ দলটিকে নিয়ে সংশয়ের কারণ চুক্তির একটি ধারা। যেখানে বলা হয়েছে, ক্লাবের সদস্যরা অনুমতি না দিলে সুপার লিগে অংশ নিতে পারবে না তারা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 April 2021, 08:57 PM
Updated : 20 April 2021, 09:03 PM

গত রোববার রাতে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রতিদ্বন্দ্বী সুপার লিগের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয় এতে যোগ দেওয়া ১২টি ক্লাব; বার্সেলোনা ছাড়াও এতে আছে রিয়াল মাদ্রিদ, আতলেতিকো মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ম্যানচেস্টার সিটি, লিভারপুল, আর্সেনাল, চেলসি, টটেনহ্যাম হটস্পার, ইউভেন্তুস, এসি মিলান ও ইন্টার মিলান।

গত বছর জোজেপ মারিয়া বার্তোমেউ বার্সেলোনার সভাপতির পদ ছাড়ার পর জানিয়েছিলেন, সুপার লিগে অংশ নিতে রাজি হয়েছে ক্লাবটি। তবে সভাপতি নির্বাচনের সময় হুয়ান লাপোর্তা এই টুর্নামেন্টের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বলেন, এটা ফুটবলকে ধ্বংস করে দেবে।

নির্বাচিত হয়ে আসার পর সুপার লিগ থেকে বার্সেলোনাকে সরিয়ে না নেওয়ায় লাপোর্তার ভাবনায় পরিবর্তন এসেছে বলে ধরা হচ্ছে। তবে টুর্নামেন্ট থেকে সরে যাওয়ার পথ এখনও খোলা রেখেছেন তিনি। কাতালান টেলিভিশন টিভি-৩ এর উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, লাপোর্তা একটা শর্ত যোগ করে দিয়ে এই প্রতিযোগিতার সঙ্গে আছেন। শর্তটি হচ্ছে, সদস্যরা সম্মত না হলে চুক্তি থেকে বেরিয়ে যেতে পারবে বার্সেলোনা।

টিভি-৩ এর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সুপার লিগের বিষয়ে ক্লাবের অবস্থান ব্যাখ্যা করার জন্য বার্সেলোনা কোচ রোনাল্ড কুমানের সঙ্গে মঙ্গলবার সাক্ষাৎ করেন লাপোর্তা। বুধবার চার অধিনায়ক লিওনেল মেসি, জেরার্দ পিকে, সের্হিও বুসকেতস ও সের্হি রবের্তোর সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। তবে এই ব্যাপারে বার্সেলোনা কোনো মন্তব্য করেনি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

প্রস্তাবিত এই লিগটি নিয়ে এরই মধ্যে নিজেদের বিরোধী অবস্থান জানিয়েছে উয়েফা ও বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থা ফিফা। ‘বিদ্রোহী’ এই লিগে খেলা ফুটবলারদের জাতীয় দলে নিষিদ্ধ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন উয়েফা সভাপতি আলেকসান্দার চেফেরিন। এই লিগে খেললে ‘পরিণতির জন্য প্রস্তুত থাকার’ কড়া বার্তা দিয়েছেন ফিফা সভাপতি জিওভান্নি ইনফান্তিনো।

প্রবল বিরোধিতার মুখে এরই মধ্যে টুর্নামেন্ট থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে সিটি। বেরিয়ে যাওয়ার পথে রয়েছে আরেক ইংলিশ ক্লাব চেলসি।