এক ভিডিও বার্তায় শনিবার জামাল-জীবনদের প্রতি এই বার্তা দেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলে এবং পরবর্তীতে জাতীয় দলে খেলা সালাউদ্দিন।
“বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি হিসেবে নয়, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের খেলোয়াড়, জাতীয় দলের, আবাহনী, মোহামেডানের সাবেক খেলোয়াড়, আবাহনীর সাবেক অধিনায়ক ও জাতীয় দলের সাবেক কোচ হিসেবে তোমাদেরকে কথাগুলো বলছি।”
“আমার একটা ছোট পরামর্শ থাকবে দেশের তরুণ এবং জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের প্রতি-এই করোনাভাইরাসের কারণে যে খেলা বন্ধ হয়ে গেছে, তাতে তোমাদেরও অনুশীলন বন্ধ আছে। তোমরা ভোর বেলা যখন একদম খালি থাকে, প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ মাইল জগিং করো, ফিজিক্যাল এক্সারসাইজ করো, নিজেই যদি ফুটবল নিয়ে অনুশীলন করো, তাহলে দেখবে ফিটনেসটা থাকবে।”
তিন-চার মাস খেলার বাইরে থাকলে স্বাভাবিকভাবে ফিটনেস লেভেল নিচে নেমে যায় উল্লেখ করে সালাউদ্দিন ব্যক্তিগত উদ্যোগ নিতে বলেছেন খেলোয়াড়দের। এ প্রসঙ্গে নিজের খেলোয়াড়ী জীবনের সময়ের নানা সংকটময় পরিস্থিতির উদাহরণও টানেন তিনি।
“নিজের জীবন থেকে বলি, আমরা যখন বড় হচ্ছিলাম ১৯৬৯-৭০-তে, তখন হরতাল, কারফিউ অনেক কিছু ছিল, তখন আমি আমার বাসার পেছনে লনে প্রায় ৩-৪ ঘণ্টা দৌড়াতাম। তাতে যখন খেলা শুরু হতো, তখন বুঝতামই না আমি খেলার বাইরে ছিলাম।”
“একই পরামর্শ আমি সবাইকে দিচ্ছি। লিগ তো শুরু হবে। তা আজ হোক, কাল হোক। ফুটবলারদের ক্যারিয়ার অনেক শর্ট। যদি ফিট থাকো, তাহলে ফুটবল খেলে নিজের পরিচয়টা ধরে রাখতে পারবে।”
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে স্থগিত থাকা কাতার বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের বাছাই আগামী অক্টোবরে পুনরায় শুরু হবে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু করবে বাংলাদেশ।