বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আগামী বুধবার বিকাল ৫টায় ফিলিস্তিন-বাংলাদেশ ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপের ষষ্ঠ আসর। প্রতিযোগিতার ম্যাচগুলো সরাসরি সম্প্রচার করবে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও আরটিভি।
ছয় দল নিয়ে হওয়া প্রতিযোগিতায় মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে ছিল না বুরুন্ডির কোনো প্রতিনিধি। দুপুরে ঢাকায় পা রাখার পর বিশ্রামে ছিল দলের কোচ, কর্মকর্তা ও খেলোয়াড়েরা। বাকি পাঁচ দলের কোচ জানালেন নিজেদের লক্ষ্য।
ছয় দলের মধ্যে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে সবচেয়ে এগিয়ে ফিলিস্তিন। ১০৬তম স্থানে থাকা দলটির কোচ মাকরাম দাবৌব জানালেন গতবারের সাফল্য ধরে রাখার প্রত্যয়।
“বিশ্বকাপ বাছাই খেলা ৬ খেলোয়াড়, অলিম্পিক দলের সাতজন ও ১০ স্থানীয় খেলোয়াড় নিয়ে আমরা চার দিনের প্রস্তুতি নিয়ে এসেছি। অন্য নিয়মিত খেলোয়াড়রা আসতে পারেনি ফিফার উইন্ডো না থাকায়। কিন্তু যে খেলোয়াড় আছে, তাতে আমরা এবারও শিরোপা জিততে আশাবাদী।”
“মৌসুম জুড়ে ভালো অবস্থায় থাকায় ছেলেরা এই টুর্নামেন্টের জন্য ভালোভাবে প্রস্তুত। নবীন এবং অভিজ্ঞদের সমন্বয়ে দলটা তৈরি। এটা আমাদের টুর্নামেন্ট হবে; কেননা, আমরা জয়ের জন্য এসেছি।”
“বাংলাদেশ, ফিলিস্তিন ও শ্রীলঙ্কা সম্পর্কে ওদের র্যাঙ্কিং ছাড়া আমরা বেশি কিছু জানি না। তবে এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমাদের লক্ষ্য আছে এবং আমরা সেটা অর্জন করতে চাই।”
‘বি’ গ্রুপের দল মরিসাসের কোচ ফ্রান্সিসকো ফিলহোর চাওয়া অভিজ্ঞতা অর্জন করা।
“তরুণ দল নিয়ে আমরা অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য এখানে এসেছি। ছেলেদের জন্য এটা ভালো টুর্নামেন্ট। আমরা জিততে চাই। কিন্তু আমাদের বাস্তববাদী হতে হবে। কেননা, আমাদের প্রতিপক্ষরা অভিজ্ঞ।”
দক্ষিণ এশিয়ান গেমসের সর্বশেষ আসরে বাংলাদেশ একমাত্র জয় পেয়েছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সে প্রসঙ্গ টেনে শ্রীলঙ্কার কোচ কলোনেল পাথনানাথান দিলেন লড়াই করার প্রতিশ্রুতি।
“বাংলাদেশ আমাদের গ্রুপে আছে। এসএ গেমসে আমরা তাদের কাছে হেরেছিলাম। এখন তরুণ ও অভিজ্ঞ খেলোয়াড় নিয়ে আমাদের দলটি ভারসাম্যপূর্ণ। আমরা প্রতিপক্ষের বিপক্ষে লড়াই করতে চাই।”