গুয়াহাটির ইন্দিরা গান্ধী স্টেডিয়ামে বুধবার ‘ই’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে মিনেরভা পাঞ্জাবকে ১-০ গোলে হারায় আবাহনী। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে একমাত্র গোল করেন আফগান ডিফেন্ডার মাসিহ সাইঘানি।
ইন্দিরা গান্ধী স্টেডিয়ামে গোলশূন্য প্রথমার্ধে দশম মিনিটে আবাহনীর হাইতির ফরোয়ার্ড কেরভেন্স ফিলস বেলফোর্টের ডি-বক্সের ভেতর থেকে নেওয়া শট জাল খুঁজে পায়নি।
মানাং মার্সিয়াংদির জালে আগের ম্যাচে গোল করা মিডফিল্ডার মামুনুল ইসলামের ২২তম মিনিটের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে আবাহনীর হতাশা আরও বাড়ে। ২৫ ও ২৬তম মিনিটে স্বাগতিকদের দুটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
৩০তম মিনিটে নাবীব নেওয়াজ জীবনের এবং পাঁচ মিনিট পর মামুনুলও হতাশ করেন আবাহনীকে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সাইঘানির বাড়ানো বল ধরে জুয়েল রানার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। একটু পর জুয়েলকে তুলে নিয়ে ফয়সাল আহমেদ শীতলকে নামান আবাহনী কোচ।
৭৯তম মিনিটে কর্নারের পর মিনেরভার এক খেলোয়াড়ের শট পোস্টে লাগে।
৬ ম্যাচে চার জয় ও এক ড্রয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ সেরা হয়ে ইন্টার জোনাল প্লে-অফ সেমি-ফাইনালসে উঠল আবাহনী।
এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের তৃতীয় সারির টুর্নামেন্ট প্রেসিডেন্টস কাপে ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত খেলা পাঁচ আসরে গ্রুপ পর্ব পেরুতে পারেনি আবাহনী। এরপর ২০১৭ ও ২০১৮ সালে খেলা এএফসি কাপেও একই অবস্থা ছিল তাদের।
এএফসি বাইলজ অনুযায়ী সেন্ট্রাল এশিয়া (ডি-গ্রুপ), সাউথ এশিয়া (ই-গ্রুপ) ও ইস্ট এশিয়া (আই-গ্রুপ)-এই তিন গ্রুপের চ্যাম্পিয়নরা খেলবে ইন্টার জোনাল প্লে-অফ সেমি-ফাইনালসে। আসিয়ান জোনের জোনাল ফাইনালস পেরিয়ে আসা দলটিও খেলবে এ পর্বে। এই চার দল থেকে দুই দল উঠবে ইন্টার জোনাল ফাইনালসে। সেখানে জয়ী হওয়া দলটি পাবে ফাইনালের টিকেট।
ওয়েস্ট-এশিয়া অঞ্চলের তিন গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও এক সেরা রানার্সআপ-এই চার দল নিয়ে হবে আরেকটি জোনাল ফাইনালস। এখান থেকে সেরা দলটি উঠবে ফাইনালে।