ব্রাজিলের সাও পাওলোর এক পুলিশ প্রতিবেদন অনুযায়ী ওই নারীর অভিযোগ, প্যারিসের এক হোটেলে গত মাসে যৌন নিপীড়নের ঘটনাটি ঘটে। এ বিষয়ে শনিবার ইন্সটাগ্রামে একটি ভিডিওতে নেইমার হোয়াটঅ্যাপে ওই নারীর পাঠানো বার্তা ও কিছু ছবি প্রকাশ করেন।
“আমার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে। এটা খুব কঠিন একটা শব্দ। খুব কঠিন একটা বিষয় কিন্তু তাই এখন ঘটছে। আমি খুব অবাক হয়েছি। খুব খারাপ একটা ব্যাপার। শুনতেও খারাপ লাগছে কারণ যারা আমাকে চেনে, আমার ব্যবহার জানে তারা জানে যে এমন কিছু আমি কখনোই করব না। যা হয়েছিল ঠিক তার বিপরীতটা তারা (অভিযোগকারীরা) বলছে।”
“এই মুহূর্তে আমি খুবই মর্মাহত। তবে এখন আমি ওই নারীর সঙ্গে আমার যেসব আলাপ হয়েছিল তা প্রকাশ করব। … বিষয়টি যে আসলেই গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয় তা বোঝাতে প্রমাণগুলো প্রকাশ করা জরুরি।”
নেইমার বুঝিয়েছেন, তাদের মধ্যে যৌনমিলন হয়েছিল পরস্পরের সম্মতিতে।
“আমি আপনাদের সব বার্তা দেখাব, ওই দিন ও পরের দিন যা কিছু হয়েছিল। কারণ ওইদিন যা হয়েছিল তা একজন নারী ও পুরুষের মধ্যে চার দেয়ালের মধ্যে হয়; যা যে কোনো যুগলের মধ্যে হয়।”
নেইমারের বাবা ও তার এজেন্ট নেইমার সিনিয়র শনিবার ব্রাজিলিয়ান একটি টেলিভিশনে বলেন, তার ছেলের সঙ্গে ওই নারীর যৌনসম্পর্ক ছিল। কিন্তু তাদের ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর ওই নারী তার আইনজীবীদের দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করে।
পুলিশ প্রতিবেদনে নারীটির অভিযোগ হিসেবে বলা হয়েছে, ইনস্টাগ্রামে পরিচয়ের পর পিএসজি ফরোয়ার্ড নেইমার তাকে প্যারিসের একটি হোটেলে দেখা করতে আসতে বলেন। ব্রাজিল থেকে ফ্রান্সে আসার বিমান টিকেট ও হোটেলের ভাড়াও নেইমার দেন। ১৫ মে যখন নেইমার হোটেলে আসেন তখন তিনি ‘মাতাল’ ছিলেন। আলাপচারিতার এক পর্যায়ে তিনি আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন এবং ওই নারীর অনিচ্ছা সত্ত্বেও জোর করে যৌন মিলন করেন।
ফরাসি পুলিশকে অভিযোগ না করে নারীটি দুই দিন পর ব্রাজিলে ফেরত আসেন কারণ তিনি ‘মানসিকভাবে দুর্বল ছিলেন এবং অন্য দেশে এ বিষয়ে অভিযোগ করতে চাননি’।
কোপা আমেরিকায় খেলতে এখন নিজ দেশে জাতীয় দলের সঙ্গে আছেন বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলার।