লন্ডনের ওয়েম্বলিতে শনিবার রাতে ‘এ’ লিগে গ্রুপ-৪ এর ম্যাচে শুরুতে পিছিয়ে পড়ার পর ঘুরে দাঁড়িয়ে ২-১ গোলে জেতে সাবেক বিশ্ব ও ইউরো চ্যাম্পিয়নরা। এরই সঙ্গে বিশ্বকাপের পর দায়িত্ব নেওয়া লুইস এনরিকের অধীনে জয়ে শুরু হলো স্প্যানিশ ফুটবলের নতুন অধ্যায়।
পাল্টা জবাব দিতে একদমই দেরি করেনি স্পেন। ত্রয়োদশ মিনিটে ডি-বক্সের মধ্যে কিছুটা এগিয়ে এক জনকে কাটিয়ে রদ্রিগোর দেওয়া ব্যাক-পাস জটলার মধ্যে পেয়ে ডান পায়ের শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন আতলেতিকো মিডফিল্ডার সাউল নিগেস।
এরই মাঝে ৩৫তম মিনিটে বায়ার্ন মিউনিখের মিডফিল্ডার তিয়াগো আলকান্তারার ফ্রি-কিকে বল ছয় গজ বক্সে পেয়ে বাঁ-পায়ের টোকায় দলকে এগিয়ে নেন ভালেন্সিয়ার ফরোয়ার্ড রদ্রিগো।
তিন মিনিট পরই সমতায় ফিরতে পারতো স্বাগতিকরা। কিন্তু ক্লাব সতীর্থ মিডফিল্ডার জেসি লিনগার্ডের ক্রসে র্যাশফোর্ডের হেড ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন দাভিদ দে হেয়া।
৮১তম মিনিটে দলকে সমতায় ফেরানোর সহজ সুযোগ নষ্ট করেন র্যাশফোর্ড। ডি-বক্সে তার নেওয়া শট দে হেয়ার পায়ে প্রতিহত হয়।
বাকি সময়ে প্রতিপক্ষের রক্ষণে একচেটিয়া চাপ ধরে রাখা ইংল্যান্ড যোগ করা সময়ের সপ্তম মিনিটে জালে বল পাঠিয়েছিল। কিন্তু শট নেওয়ার আগমুহূর্তে গোলরক্ষককে ফাউলের দায়ে বদলি নামা ড্যানি ওয়েলবেকের সে প্রচেষ্টা বাতিল করে দেন রেফারি।
পরাজয়ের হতাশায় মাঠ ছাড়ে গত বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালিস্টরা। ২০০৭ সালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের পর ঘরের মাঠে এটাই ইংল্যান্ডের প্রথম প্রতিযোগিতামূলক লড়াইয়ে হার।
‘বি’ লিগের গ্রুপ-৩এ নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের মাঠে ২-১ গোলে জিতেছে বসনিয়া-হার্জেগোভিনা।
‘সি’ লিগের গ্রুপ-২এ হাঙ্গেরির বিপক্ষে নিজেদের মাঠে ১-০ গোলে জিতেছে ফিনল্যান্ড।
‘ডি’ লিগে গ্রুপ-২এ স্যান ম্যারিনোকে ৫-০ গোলে হারিয়েছে বেলারুশ।