আগামী ১৯ জুলাই ফিলিস্তিনে শুরু হবে এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্ব। বাংলাদেশের সঙ্গে ‘ই’ গ্রুপে আছে জর্ডান, তাজিকিস্তান ও স্বাগতিক ফিলিস্তিন।
ফিলিস্তিনের উদ্দেশে এখনই রওনা দেবে না দল। রোববার সকালে প্রথমে যাবে নেপালে। আগামী মঙ্গলবার নেপাল অনূর্ধ্ব-২৩ দলের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার পরের দিন রওনা দেবে কাতারের পথে। সেখানকার অনূর্ধ্ব-২৩ দলের সঙ্গে ১৩ জুলাই প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে জুয়েল-রুবেলরা। এরপর কাতারে তিন দিনের প্রস্তুতি নিয়ে যাবে ফিলিস্তিন।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে শনিবারের সংবাদ সম্মেলনে দলের সামর্থ্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে স্বপ্ন দেখায় বাস্তববাদী হওয়ার কথা বলেন অর্ড।
“আমরা দুই সপ্তাহ ধরে ভালো প্রস্তুতি নিয়েছি। জাতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতা থাকা কয়েকজন খেলোয়াড়ও এই দলে আছে। তবে প্রস্তুতি এখনও শেষ হয়ে যায়নি। মাঝপথে আছে। আমাদের হাতে আরও দুটি প্রীতি ম্যাচ আছে, যেখান থেকে আমরা ম্যাচ সম্পর্কে আরও শিখতে পারি।”
“আমাদের লক্ষ্য ভালো শুরু করে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নেওয়ার। তবে আমাদের বাস্তববাদী হতে হবে; নিজেদের সেরাটা দিতে হবে; সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে।”
এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইয়ে বাংলাদেশ আজও জয়হীন। তবে প্রস্তুতি ম্যাচে লিগ চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেডকে হারানোয় আত্মবিশ্বাস কিছুটা হলেও বেড়েছে অর্ডের। অস্ট্রেলিয়ান কোচ বাছাই পর্বে ভালো কিছু পাওয়ার আশা একেবারে ছাড়ছেনও না।
“এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইয়ে বাংলাদেশ কখনও জেতেনি। কিন্তু আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। মনোযোগ, প্রত্যয় সব কিছু নিয়ে ভালো একটা শুরুর চেষ্টা করতে হবে।”
২৩ জনের চূড়ান্ত দলে নয় জন মিডফিল্ডার, আট জন ডিফেন্ডার, তিন জন গোলরক্ষক ও তিন জন ফরোয়ার্ড। অর্ড জানালেন আপাতত নেপাল ম্যাচ নিয়ে ভাবছেন তিনি।
“রক্ষণ ও আক্রমণভাগে বেশি দৃষ্টি দিতে হবে আমাদের। রক্ষণে এক চোখ রেখে আক্রমণে আরেক চোখ রাখব আমরা। এভাবেই গতকাল জিতেছি এবং আমরা এই পরিকল্পনা নেপালের বিপক্ষে খাটাতে চাই।”
গত অক্টোবরে এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বে ওঠার প্লে-অফে ভুটানের কাছে হারের পর জাতীয় দল নতুন করে গড়ার কথা বলেছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। শনিবারের সংবাদ সম্মেলনে ন্যাশনাল টিমস কমিটির চেয়ারম্যানও ফিলিস্তিন সফরে জাতীয় দলের আগামী দিনের খেলোয়াড়দের খুঁজে পাওয়ার লক্ষ্য বলে জানালেন।
“ভুটান ম্যাচের বিপর্যয় আমাদের ঝড়ের মুখে ফেলে দিয়েছিল। তবে সেখান থেকেও নতুন করে ভাবার সুযোগ পেয়েছিলাম আমরা। আমরা চেষ্টা করেছি ভালো কিছু করতে। দল নিয়ে কোচের চাওয়া অনেকটাই পূরণ করেছি। ফিলিস্তিনে ছেলেদের প্রতিপক্ষ তিন দলই শক্তিশালী। তাই হঠাৎ করে ভালো ফল আশা করা অবাস্তব।”
“সামনে আমাদের সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ ও বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আছে। এই টুর্নামেন্টে খেলছি ভবিষ্যতের প্রস্তুতির জন্য। ওই টুর্নামেন্টগুলোর জন্য পরীক্ষামূলক ও প্রস্তুতিমূলক টুর্নামেন্ট হিসেবে দেখছি ফিলিস্তিনের প্রতিযোগিতাকে।”