কোপা দেল রে নামে পরিচিত এই টুর্নামেন্টের প্রথম লেগে সোসিয়েদাদের মাঠে নেইমারের গোলে ১-০ গোলে এগিয়ে থাকা বার্সেলোনা বৃহস্পতিবার রাতে জিতেছে ৫-২ গোলে।
প্রথমার্ধে দেনিস সুয়ারেসের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধের দশম মিনিটে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন লিওনেল মেসি। হুয়ানমি একটি গোল শোধ করলেও সঙ্গে সঙ্গেই লুইস সুয়ারেসের গোলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখে বার্সেলোনা। উইলিয়ান হোসে দুর্দান্ত হেডে ব্যবধান কমালেও ম্যাচে ফিরতে পারেনি অতিথিরা। আর্দা তুরান আর দেনিসের দ্বিতীয় গোলে বড় জয় নিশ্চিত হয় লুইস এনরিকের দলের।
ম্যাচের সপ্তদশ মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগটাই কাজে লাগায় স্বাগতিকরা। লুইস সুয়ারেসের আলতো টোকায় ডি-বক্সের ডান দিকে বল পেয়ে কোনাকুনি শটে ঝাঁপিয়ে পড়া গোলরক্ষককে ফাঁকি দেন দেনিস সুয়ারেস।
৫৪তম মিনিটে কাছ থেকে হোসের শট ঠেকিয়ে বিপদ হতে দেননি বার্সেলোনার গোলরক্ষক ইয়াসপের সিলেসেন। পরের মিনিটেই পেনাল্টি থেকে ব্যবধান বাড়ান আর্জেন্টিনার অধিনায়ক মেসি।
ব্রাজিলের ফরোয়ার্ড নেইমারকে ডি-বক্সে মার্তিনেস ফাউল করলে স্পটকিকের বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি।
৬২তম মিনিটে হুয়ানমির দুর্দান্ত গোলে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেয় সোসিয়েদাদ। চাপের মুখে সিলেসেনের মাথার উপর দিয়ে বল জালে পাঠান বদলি হিসেবে নামা স্প্যানিশ এই ফরোয়ার্ড।
তবে জবাবটা পরের মিনিটেই দিয়ে দেয় বার্সেলোনা। মেসির বাড়ানো বলে উরুগুয়ের স্ট্রাইকার সুয়ারেসের নিখুঁত ফিনিশিংয়ে আবার দুই গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
৮০তম মিনিটে ডি-বক্সের ডান দিকে মেসির বাড়ানো বলে ভিদালের নীচু ক্রসে সুয়ারেস পা লাগাতে না পারেননি। তবে সুযোগটা হারাননি তার পেছনেই থাকা তুরান। পা বাড়িয়ে খুব কাছ থেকে বল জালে পাঠিয়ে দেন নেইমারের বদলি হিসেবে নামা তুরস্কের এই মিডফিল্ডার।
আর দুই মিনিট পর আবারও মেসির বাড়ানো বলে ডান পায়ের স্পর্শে গোলরক্ষককে কাটিয়ে বাঁ পায়ে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার দেনিস।
সেমি-ফাইনালে ২৮ বারের কোপা দেল রে বিজয়ী বার্সেলোনার সঙ্গী সেল্তা ভিগো, আতলেতিকো মাদ্রিদ ও আলাভেস।
দুই লেগ মিলিয়ে সেল্তা ভিগোর কাছে ৪-৩ গোলে হেরে আগের রাতে বিদায় নেয় ১৯ বারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ।