গত ডিসেম্বরে চেলসির কোচের পদ থেকে ছাঁটাই হওয়ার পর চলতি মৌসুমে ইউনাইটেডের দায়িত্ব নেন মরিনিয়ো। এর পর প্রথমবারের মতো সাবেক ক্লাবের মাঠে গিয়ে পেলেন ৪-০ ব্যবধানে হারের লজ্জা।
৩০ সেকেন্ডের মাথায় পেদ্রোর গোলে পিছিয়ে পড়ার পর ২২তম মিনিটে হজম করা গোলটিতে ইউনাইটেডের রক্ষণের দুর্বলতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। কর্নার থেকে উড়ে আসা বল আন্তোনিও ভালেন্সিয়া বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হলে আন্দের এররেরার গায়ে লেগে একবারে গোলদাতা গ্যারি ক্যাহিলের পায়ে গিয়ে পড়ে।
মরিনিয়োর মতে, শুরুর গোলটাই ম্যাচের চিত্র পাল্টে দিয়েছে। পরে বেশ কবার প্রতি আক্রমণে দলের এমন বিপর্যয় দেখে হতাশ এই পর্তুগিজ কোচ।
স্কাই স্পোর্টসকে তিনি বলেন, “প্রথম মিনিটে আপনি গোলটি বিশ্লেষণ করলে দেখবেন কি হয়েছে। আমরা রক্ষণে অবিশ্বাস্য সব ভুল করেছি। রক্ষণে ব্যক্তিগত ভুল এবং আপনি এর মুল্য দেবেন।"
“২-০ এর পর আপনি যদি সমতা ফেরাতেন বা স্কোরলাইন ২-১ করতে পারতেন তাহলে আপনি একটা বড় সুযোগ পেতেন কারণ ফুটবলের বিচারে (ওই অবস্থায়) দলটি বেশ স্বস্তিতে থাকে।”
৬২তম মিনিটে এডেন হ্যাজার্ডের করা গোলের দায় স্মলিংয়ের। এই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন বেলজিয়ামের ফরোয়ার্ড। কিছুক্ষণ পর স্মলিংকে বাঁ পায়ের জাদুতে ছিটকে দিয়ে শেষ গোলটি করেন এনগোলো কঁতে।
শেষে সাবেক শিষ্যদের কাছে ক্যারিয়ারে প্রিমিয়ার লিগে সবচেয়ে বড় হারের তেতো স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়েন পর্তুগিজ কোচ মরিনিয়ো।
এই হারের পর ৯ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে আছে ইউনাইটেড। শীর্ষে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির চেয়ে ৬ পয়েন্ট পিছিয়ে তারা।
সিটির সমান ২০ পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে আর্সেনাল দ্বিতীয় ও লিভারপুল তৃতীয় স্থানে আছে।
চতুর্থ স্থানে ওঠা চেলসির পয়েন্ট ১৯। পঞ্চম স্থানে থাকা টটেনহ্যামের পয়েন্টও সমান ১৯। ১৫ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ এভারটন।