বাংলাদেশের জার্সিতে হামজার খেলার সম্ভাবনায় যা বললেন সালাউদ্দিন

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই ইংলিশ ফুটবলার লাল-সবুজ জার্সিতে খেলতে চাইলে অবশ্যই নেওয়া হবে, তবে সেটা খুব শীঘ্রই সম্ভব নয় বলেই ধারণা কাজী সালাউদ্দিনের।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 March 2024, 01:58 PM
Updated : 13 March 2024, 01:58 PM

হার্টে অস্ত্রোপচারের তিন মাস পর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে এলেন কাজী সালাউদ্দিন। গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে নিজের শারীরিক অবস্থা, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইংলিশ ফুটবলার হামজা দেওয়ান চৌধুরীর লাল-সবুজের জার্সিতে খেলার সম্ভাবনাসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বললেন দেশের ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থার সভাপতি।

বেশ কিছুদিন ধরে হামজার বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার সম্ভাবনা নিয়ে গুঞ্জন চলছে। কিছুদিন আগে বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরার একটি কথায় তা বাড়তি মাত্রা পায়। তিনি বলেছিলেন, এই সম্ভাবনা একদিন সত্যি হতেই পারে।

তবে বাফুফে ভবনে বুধবার হামজা ইস্যু নিয়ে সালাউদ্দিন বললেন, লেস্টার সিটির এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের বাংলাদেশের হয়ে সহসা খেলার সম্ভাবনা দেখছেন না তিনি। অনেক কিন্তু-যদি মিললেই কেবল তা সম্ভব বলে মনে করেন সাবেক এই তারকা ফুটবলার।

“হামজা ক্লাবের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। এটা সম্পূর্ণ হামজার নিজস্ব ও তার ক্লাবের বিষয়। আমাদের অফিস যোগাযোগ করেছে, হামজা খেলতে চাইলেই খেলতে পারবে, বিষয়টি এমন নয়। খেলতে চাইলে আগে তাঁকে তার ক্লাবের ছাড়পত্র নিতে হবে। তারপর কী তার চাহিদা, সেটাও জানতে হবে। সে খেলতে চাইলে আমরা তাঁকে কেন নেব না? সেধে সেধে নেব। তবে, বিটুয়িন দা কাপ অ্যান্ড দা লিপস…অনেক দূরত্ব আছে।”

কিছুদিন আগে কথার লড়াইয়ের কারণে বর্তমানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নাজমুল হাসানের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল সালাউদ্দিনের। তবে মন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর অসুস্থ বাফুফে সভাপতিকে দেখতে তার বাসায় গিয়েছিলেন নাজমুল। পরে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের পাশাপাশি ‘ফুটবলার সালাউদ্দিন’কে নিয়ে মুগ্ধতার কথা বলেছিলেন মন্ত্রী। সালাউদ্দিনও জানালেন তাদের সম্পর্ক আছে আগের মতোই।

“পাপন (নাজমুল হাসান) যখন আমার বাসায় এসেছে, আমি জানতাম কী কথা হবে এবং সেটাই হয়েছে। এটা এমন এক সম্পর্ক যেটা কালকে-আজকে তৈরি হয়নি। অনেক লম্বা সম্পর্ক, পারিবারিক সম্পর্ক। পাপন আর আমার মাঝে কখনও কিছু হয়নি, কখনও হওয়ার সুযোগও নেই। আমরা সাধারণ বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। আমাদের খুবই ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। পাপনের কাছ থেকে আমি এটাই আশা করেছি, সেও আমার কাছ থেকে এটাই পাবে সবসময়।”

এখন ৭০ বছর বয়স সালাউদ্দিনের। বয়সের ভার তাই নেহাত কম নয়। অস্ত্রোপচারের ধকলও সঙ্গী। খেলোয়াড়ী জীবনে করা হাঁটুর অস্ত্রোপচারের স্মৃতি আওড়ে তিনি বললেন, বাফুফে প্রধানের দায়িত্ব চালিয়ে যেতে হলে ভালোভাবেই চালাবেন, নইলে নয়।

“আমি যদি ফুটবল করি, আগের মতোই করব। যদি সিদ্ধান্ত নেই করব না, তাহলে করব না। কোনো জিনিস আমি আধাআধি করব না। এমন না যে আমি সভাপতি হওয়ার দৌড়ে থাকব কিন্তু আসব না, কাজ করব না; আমি এমনটা করব না। যা করব, করব। না করলে করব না। যে কারণে আমি ফুটবলার হয়েছি, ক্রিকেটে যাইনি। ক্রিকেট জাতীয় দলে ডাক পেয়ে শুধু রিপোর্ট করেছি, কিন্তু জয়েন করিনি। কারণ আমি যেটা করব শুধু সেটাই করব।”

“সেই সৌভাগ্য (অস্ত্রোপচার) কেবল একবারই হয়েছে, সেটা ছিল হাঁটুতে। সেই অপারেশনের সঙ্গে হার্টের অপারেশনের কোনো সম্পর্ক নেই। সেই অপারেশনের আগে একটাই টেনশন ছিল যে, আমি খেলতে পারব কিনা। জীবন নিয়ে কোনো টেনশন ছিল না। আর এই অপারেশনের পর মনে হচ্ছিল আমি বাঁচতে পারব কিনা।”