ফুটবল কিংবা বিশ্বকাপ ফুটবল সংক্রান্ত যে কোনো কুইজে একটি প্রশ্ন অবধারিতই থাকে সাধারণ, ‘পাঁচ বিশ্বকাপে খেলা প্রথম ফুটবলার কে?” অবিস্মরণীয় সেই কীর্তি গড়া ফুটবলার এবার পেরিয়ে গেলেন ফুটবল আর জীবনের সীমানা। ৯৩ বছর বয়সে মারা গেলেন মেক্সিকোর সাবেক গোলরক্ষক আন্তনিও কারবাহাল।
বেশ কিছুদিন ধরেই উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন কারবাহাল। হাসপাতালেও নিতে হয়েছিল তাকে। সেখান থেকে তার ফেরা হলো না তার। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে তার মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হওয়ার পর মেক্সিকোর ফুটবল ফেডারেশনও তা নিশ্চিত করে।
১৯৫০ বিশ্বকাপের স্মৃতি বয়ে চলা একমাত্র ফুটবলার ছিলেন তিনি। তার মৃত্যুতে ওই বিশ্বকাপে খেলা কোনো ফুটবলার আর জীবিত থাকলেন না।
ব্রাজিলে ওই বিশ্বকাপে মারাকানায় স্বাগতিকদের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই কারবাহালের বিশ্বকাপ অভিষেক। ওই আসরে সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার ছিলেন তিনিই। পরে একটির পর একটি বিশ্বকাপে মেক্সিকোর গোলবারে দেখা যায় তাকে। ১৯৬২ বিশ্বকাপে খেলেই প্রথম ফুটবলার হিসেবে গড়েন চারটি বিশ্বকাপে খেলার কীর্তি।
পরে ১৯৬৬ বিশ্বকাপেও খেলে রেকর্ড নিয়ে যান তিনি নতুন উচ্চতায়। এক পর্যায়ে তার নামই হয়ে যায় ‘দা ফাইভ কাপস।’
সেই রেকর্ডে তিনি একাই ছিলেন ৩২ বছর। ১৯৯৮ বিশ্বকাপে তা স্পর্শ করেন জার্মান কিংবদন্তি লোথার মাথেউস। এরপর সেই রেকর্ডে ক্রমে নাম লেখান কারবাহালের স্বদেশী রাফায়েল মার্কুয়েস, আন্দ্রেস গুয়ার্দাদো ও গিয়েরমো ওচোয়া, ইতালির জানলুইজি বুফ্ফন, পর্তুগালের ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো এবং আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসি।
ক্লাব ক্যারিয়ারের পুরোটাই কারবাহাল কাটিয়েছেন নিজ দেশে। যদিও পঞ্চাশের দশকে রিয়াল মাদ্রিদ তাকে দলে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন নানা সময়ে। তবে শুরুর বছর দুয়েক ছাড়া ক্লাব ক্যারিয়ারের পুরোটা তিনি খেলে যান নিজ শহরের ক্লাব লেয়নে। পরে এই ক্লাবকে কোচিংও করান তিনি। কোচিংয়ে তার ক্যারিয়ার ছিল দুই যুগের বেশি।
সেই কারবাহাল এখন সবকিছুর উর্ধ্বে। তবে বিশ্বকাপে আলোচনায় তিনি থাকবেন অমর হয়েই।