পরের ম্যাচে কিংসলের কাছে গোল চান কাবরেরা

সিশেলসের বিপক্ষে পাওয়া জয় নিয়ে গর্ব করা উচিত বলে মনে করেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ।

দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হলো এলিটা কিংসলের। লাল-সবুজ জার্সিতে অভিষেক হলো নাইজেরিয়ান থেকে বাংলাদেশী হয়ে যাওয়া এই ফরোয়ার্ডের। গোলের সুযোগও পেলেন, কিন্তু পারলেন না কাজে লাগাতে। তার কাছ থেকে পরের ম্যাচে গোল চাইলেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা।

সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে শনিবার কাজী তারিক রায়হানের একমাত্র গোলে ১-০ ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নামার পর ৬১তম মিনিটে মতিন মিয়ার দারুণ ক্রস দুই ডিফেন্ডারের ফাঁক গলে বেরিয়ে গিয়ে কিংসলে বাঁ পায়ে শট নেন, কিন্তু বল চলে যায় ক্রসবারের উপর দিয়ে।

৮৮তম মিনিটে আবারও সুযোগ পেয়েছিলেন কিংসলে। কিন্তু ৩৩ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডের জোরালো শট ফিস্ট করে ফেরান গোলরক্ষক। কাবরেরার চাওয়া পরের ম্যাচে বল যেন যায় জালে্

“কিংসলেকে নিয়ে আমি খুশি, সে কঠোর পরিশ্রম করেছে। সবাই কঠোর পরিশ্রম করেছে। যেভাবে আমরা খেলেছি…স্ট্রাইকারদের গোল করার প্রয়োজন ছিল, তারা তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। কিংসলের খেলায় আরও উন্নতি করতে হবে। তবে এ ম্যাচে সে পরিষ্কার সুযোগ পেয়েছিল। আশা করি, এর পরে সে গোল করবে। এজন্য আমাদেরকে তাকে সমর্থন যোগাতে হবে।”

প্রথমার্ধের শেষ দিকে হেডে জাল খুঁজে নেন তারিক। তাতে সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে ৩-১ গোলে হারের ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ দিতে পেরেছে বাংলাদেশ। কাবরেরার কাছে তাই সিশেলসের বিপক্ষে জয়টি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।

“কঠিন ম্যাচ হয়েছে, কিন্তু এটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ জয় এবং এটাই পাওয়ার লক্ষ্য ছিল। আজ আমাদের জয়ের প্রয়োজন ছিল। নিজেদেরকে প্রমাণ করার প্রয়োজন ছিল, আমরা সেটা করতে পেরেছি এবং এটাই গুরুত্বপূর্ণ।”

“আমরা জানতাম, সিশেলস ভীষণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং শক্তি নির্ভর ফুটবল খেলবে, তাই নিজেদের ছন্দ খুঁজে পেতে সময় লেগেছে। ছেলেরা ত্যাগ স্বীকার করেছে এবং এই জয় নিয়ে আমাদের গর্ব করা উচিত।”

জয়ের আনন্দ থাকলেও দলের দ্বিতীয়ার্ধের পারফরম্যান্স নিয়ে খুশি নন কাবরেরা। প্রতিপক্ষের চাপে প্রায়ই ভুগতে হয়েছে বলে দিলেন অকপট স্বীকারোক্তি।

“আমি বল প্রথমার্ধে ২০-২৫ মিনিট আমরা ভালো ফুটবল খেলেছি। আমি ভেতরের দিকে এবং অ্যাটাকিং মিডফিল্ডে খেলার জায়গা করতে পেরেছিলাম। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে বল পাওয়ার জন্য আমাদের অনেক সময় লেগেছে এবং শুরু থেকে ২৫-৩০ মিনিট পর্যন্ত ভুগতে হয়েছে।”

“এই ম্যাচের ভিডিও আবারও দেখতে হবে। সিশেলস ‘ম্যান টু ম্যান’ তাড়া করেছে, যে কারণে পরিস্থিতি আমাদের জন্য কঠিন হয়ে গিয়েছিল। আমাদের মিডফিল্ডারদের তারা চেজ করেছে। দ্বিতীয়ার্ধে কি হয়েছিল, সেটা আমরা দেখব (ভিডিও)। দ্বিতীয় ম্যাচে কীভাবে এখানটায় উন্নতি করতে পারি, সে পথ খুঁজে বের করব।”