বাফুফে
আগামী ২৬ অক্টোবর নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন ও আপিল কমিটি গঠনের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে সভায়।
Published : 03 Oct 2024, 07:50 PM
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাহী কমিটির ১১তম সভায় নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন, আপিল কমিটি গঠন অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অক্টোবরের মাঝামাঝি সাফ উইমেন’স চ্যাম্পিয়নশিপ ও আগামী নভেম্বরের উইন্ডোতে জাতীয় দলের খেলার বিষয়ও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আগামী ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে বাফুফের নির্বাচন। এটাকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন ও আপিল কমিটি গঠনের বিষয়টি চূড়ান্ত হলো।
সভার প্রারম্ভিক আলোচনায় আবেগঘণ বার্তা দিয়েছেন বিদায়ী সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনও।
বাফুফে ভবনে বৃহস্পতিবারের সভার বিষয়বস্তু এবং কী কী বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হলো, সে বিষয়ে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেন কমিটির সদস্য সত্যজিৎ দাস রুপু। এই সভায় অবশ্য সবকিছু চূড়ান্ত হয়নি। বাফুফের আগামী এজিএমে বাজেট সংক্রান্ত বিষয় চূড়ান্ত করার জন্য তা ফাইন্যান্স কমিটির কাছে পুনরায় পাঠানো হয়েছে বলেও জানালেন তিনি।
বাফুফে ভবনে গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য মিডিয়া সেন্টার নেই। এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) অনুদানে সংস্কার কাজসহ মিডিয়া সেন্টার নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছেন বলে জানিয়েছেন রুপু। সব মিলিয়ে এজন্য এএফসির কাছ থেকে ‘দুই কোটি বা তার কিছু বেশি’ অনুদান পাওযা যাবে।
আলোচ্যসূচির মূল বিষয় ছিল আগামী নির্বাচন আয়োজন সংক্রান্ত বিষয়।
“আগামী ২৬ তারিখে নির্বাচন। এ নিয়ে আমাদের কয়েকটা এজেন্ডা ছিল। এর মধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠন করা। তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন হয়েছে। মেজবাহ উদ্দিন হচ্ছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। একেএম এহসানুর রহমান ও সুরাইয়া জাহান আছেন নির্বাচন কমিশনার হিসেবে।”
“এর সাথে আপিল করার বিষয় সংযুক্ত আছে, সেজন্য আপিল কমিশনও গঠন করা হয়েছে। তার প্রধান হিসেবে আছেন ড. মোহাম্মদ জকরিয়া। গতকাল যে শুনানি ছিল, সেখানে উনি প্রধান ছিলেন, তাকে আপিল কমিটিতেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তার সাথে আরও দুজন আছে; এসএম হারুনুর রশিদ ও মিহির সারওয়ার মোর্শেদ-উনারা দুজন আপিল কমিশনার হিসেবে কাজ করবেন।”
১৩৩ জনের ভোটার তালিকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বাফুফের নির্বাচন উপলক্ষে। ভোটার তালিকায় ছিল মোট ১৩৯ জন, এদের মধ্যে দুটি আগেই বাতিলের খাতায় পড়েছিল। আপিল শুনানিতে ফেনী, গোপালগঞ্জ, শেরপুর ও লালমনিরহাট- এই চার জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (ডিএফএ) ভোটাধিকার বাতিল করে চূড়ান্ত তালিকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান রুপু। পঞ্চমবারের মতো মেজবাহ উদ্দিনের নির্বাচন কমিশনার হওয়া নিয়ে ওঠা ‘প্রশ্নের’ জবাবও দেন তিনি।
“গত যে নির্বাচনগুলো অনুষ্ঠিত হয়েছে, তিনি খুব সূচারুভাবে পরিচালনা করেছেন, উনার ওপরে সবার আত্মবিশ্বাস ছিল বিধায় উনার নাম সবাই প্রস্তাব করেছেন, বোর্ড সম্মতি দিয়েছে। উনার নাম যেহেতু অনুমোদিত হয়েছে, সেহেতু পরবর্তী নাম আসার আর প্রয়োজন হয়নি। এটার প্রস্তাবনা এসেছে…বোর্ড বলেছে, আগের নির্বাচনগুলো উনি ভালোভাবে কনডাক্ট করেছেন, সেজন্য উনার ওপরে সবাই আস্থা রেখেছেন।”
জাতীয় দলের আসছে টুর্নামেন্ট ও ম্যাচগুলোর বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। রুপু জানালেন, অক্টোবরের পর দায়িত্ব নেওয়া নতুন কমিটির কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার সুবিধার্থে কিছু বিষয় অনুমোদন দিয়েছে বর্তমান কমিটি।
“আমরা মূলত, ন্যাশনাল টিমের যে কার্যক্রম আছে, সেখানে নভেম্বরে ফিফা উইন্ডো আছে। সেখানে বাংলাদেশ খেলবে, এটাই ছিল মূল আলোচ্য বিষয়। সেটা আমরা উপস্থাপন করেছিলাম, যেহেতু ২৬ তারিখে নির্বাচনের পরে নতুন কমিটি আসবে। সেখানে আমাদের আলোচনায় যে বিষয়টা ছিল, বাংলাদেশ খেলবে এটা নিশ্চিত করা, যে কমিটিই আসুক, তারা যেন এটা এগিয়ে নিতে পারে। এটায় যেন কোনো ছেদ না পড়ে। সেজন্য আমরা আগামী খেলাটা নিশ্চিত করেছি। প্রতিপক্ষ নিয়ে অফিস কাজ করছে, যেদিন নিশ্চিত হবে, আপনাদের জানাব। মেয়েদের সাফে অংশ নেওয়া নিয়েও আলোচনা হয়েছে।”
এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না বর্তমান সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। গণমাধ্যমের কৌতুহল ছিল, সভা শেষে তিনি আসবেন সংবাদ সম্মেলনে। সালাউদ্দিনের না আসার কারণ জানালেন রুপু।
“আমরা যখন বোর্ড মিটিং শুরু করেছি, তখন প্রারম্ভিক যে সম্ভাষণ ছিল, সেটা তিনি করেছিলেন। শুরুতেই তিনি বলেছেন, আমি দীর্ঘসময় ছিলাম, আমি শুধু একটা জিনিসই বুঝি, সেটা হচ্ছে ফুটবল, আমার অন্য কিছুর সাথে সংশ্লিষ্টতা নেই। তো আমি ফুটবলের জন্য কাজ করার চেষ্টা করেছি, এখানে আমার ভুল-ত্রুটি থাকতে পারে, ব্যক্তিগতভাবে কারো সাথে কোনো কিছু যদি থেকে থাকে, সেটার জন্য তিনি সরি (দুঃখিত) বলেছেন। সেই সাথে বলেছেন, যতদিন তিনি এই চেয়ারে ছিলেন, ফুটবলের জন্য কাজ করেছেন। উনি শেষ দিনেই ব্রিফ করবেন। আরও একটা মিটিং যেহেতু আছে।”