সেন্ট মার্টিনের পথে পরীক্ষামূলক পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু

১৮ মার্চ থেকে এ পথে জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেয় কক্সবাজার প্রশাসন।

প্রায় ছয় মাস পর টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে পরীক্ষামূলকভাবে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু করেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বুধবার সকাল থেকে চলবে জাহাজ।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. নাসিম আহমদের নেতৃত্বে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে টেকনাফ উপজেলার দমদমিয়া জেটি থেকে সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে যায় এমভি বার আউলিয়া নামের একটি জাহাজ।

এতে ছিলেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী, বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যসচিব রায়হান উদ্দিন আহমেদ, পর্যটন উদ্যোক্তা তৌহিদুল ইসলাম তোহা ও ট্যুর অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রেজাউল করিম রেজা।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাসিম আহমেদ জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ ছেড়ে যাবে। আবার বেলা সাড়ে ৩টায় সেন্ট মার্টিন থেকে টেকনাফের উদ্দেশে রওনা হবে।

২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে কক্সবাজারে আয়োজিত বিচ কার্নিভ্যাল কেন্দ্র করে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

নৌপথ পর্যবেক্ষণ শেষে নাসিম আহমেদ আরও বলেন, উভয় পাড়ের জেটিঘাট ও নাফ নদীর নাব্যতাসহ আনুষঙ্গিক নানা বিষয় খতিয়ে দেখা হয়েছে।

পর্যবেক্ষণ দলে থাকা কক্সবাজার ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের (টুয়াক) জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর বলেন, গত বছর নাফ নদীতে নাব্য সংকট ও একাধিক বালুচর জেগে ওঠায় পর্যটন মৌসুমের শুরু থেকে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।

এ বছর যথাসময়ে জাহাজ চলাচলের অনুমতি পাওয়ায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

টেকনাফ ইউএনও মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী বলেন, “সব দিক বিবেচনা করে এমভি বার আউলিয়াকে পর্যটক পরিবহনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আবেদন অনুসারে পরবর্তী সময় অন্য জাহাজ চলাচলের ব্যাপারে বিবেচনা করা হবে।”

জানা গেছে, চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল শুরু হয়। পরে ১৮ মার্চ থেকে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এ পথে জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেয়।

সে সময় টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন থেকে কেয়ারি সিন্দবাদ, কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন, আটলান্টিক, শহীদ আব্দুস সালাম, এমভি পারিজাত, এমভি রাজ হংস, সুকান্ত বাবু, এমভি বে ক্রুজ এবং এমভি বার আউলিয়া জাহাজ চলাচল করত।

[প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক]