“১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাকে হত্যা করা হয়েছে।”
Published : 02 Mar 2024, 04:09 PM
এখনও মুক্তিযোদ্ধারা তাদের যথাযোগ্য মূল্যায়ন পাননি বলে মন্তব্য করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি কাদের সিদ্দিকী।
তিনি বলেন, “আমার পরিচয় আমি দেশের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর এক নম্বর ভক্ত ও অনুসারী। শুধু তার নির্দেশেই যুদ্ধই করেনি, তাকে হত্যার প্রতিবাদ করেছি। তখন প্রতিবাদ করার জন্য অনেককে পাইনি।”
শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদ হল রুমে ‘কাদেরিয়া বাহিনীর ২৭ নং হিরো কোম্পানি ৭১’ নামের গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, “১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাকে হত্যা করা হয়েছে। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শওকত মোমেন শাহজাহানের ছেলে জয়ের কাছে হেরেছি। খবরটা কি ভালো না? আমার পরিচয় কী?”
তিনি বলেন, “ভূঞাপুরে ১১ অগাস্ট পাকিস্তানিদের অস্ত্র বোঝাই জাহাজ ধ্বংস করা হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতার টাকা কারোর বাবার মুরদ নেই বন্ধ করার। কাদেরিয়া বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ১৭ হাজারের বেশি তবে ১৮ হাজার নয়।”
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি বলেন, “সিরাজগঞ্জ, জামালপুর ও শেরপুরের চেয়ে কদ্দুস নগর খ্যাত ভূঞাপুর মুক্তিযুদ্ধের অবদান সবচেয়ে বেশি। তবে সখীপুর উপজেলা প্রথম। ভূঞাপুর যার জন্য হয়েছে তিনি হলেন প্রিন্সিপাল ইবরাহীম খাঁ। প্রিন্সিপাল ইবরাহীম খাঁ পাকিস্তানকে সমর্থন করে নাই।
“ইবরাহীম খাঁর জন্যই আমি কাদের সিদ্দিকী, সামছুল হক, আবদুল মান্নান, বদি ফারুক ভাই হয়েছে। গোবিন্দাসীর মীর মোয়াজ্জেম হোসেন দুদু মিয়া মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার জোগান না দিলে তারা যুদ্ধ করতে পারতো না।”
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাকীমের (বীর প্রতীক) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক যুগ্ম সচিব শফিকুল ইসলাম, লেখক মির্জা মহীউদ্দিন, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক মামুন তরফদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী তালুকদার, আজিজুর রহমান আজিজ।