রাজশাহী সিটি: শপথ নিলেও নতুন পরিষদ দায়িত্ব নেবে ১২ অক্টোবর

সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শপথ নিয়েছেন নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলররা।

তৃতীয়বারের মতো রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ নিয়েছেন এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।

সোমবার শপথ নিলেও তার নেতৃত্বে নতুন পরিষদের দায়িত্ব নিতে সময় লাগবে আরও তিন মাস।

আগামী ১২ অক্টোবর খায়রুজ্জামান লিটন নতুন মেয়াদের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেবেন বলে সিটি করপোরেশনের একটি সূত্র জানিয়েছে।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান মিশু জানান, ২০১৮ সালের সিটি নির্বাচনের পর ৫ সেপ্টেম্বর শপথ নিয়েছিলেন খায়রুজ্জামান লিটন। এর এক মাস পর, অর্থাৎ ৫ অক্টোবর তিনি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেন।

“নিয়ম অনুযায়ী, সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত নতুন মেয়র ও কাউন্সিলরদের দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম সাধারণ সভা যেদিন অনুষ্ঠিত হয়, সেদিন থেকে তাদের পাঁচ বছরের মেয়াদকাল শুরু হয়।”

২০১৮ সালে নির্বাচিত পরিষদের প্রথম সভা হয়েছিল ১১ অক্টোবর। সে হিসাবে সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের মেয়াদ এখনও শেষ হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী, আগামী ১২ অক্টোবর থেকে নতুন মেয়াদের দায়িত্ব নিতে পারবেন মেয়র ও কাউন্সিলররা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার দুপুর ১২টায় তার কার্যালয়ের শাপলা হলে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়রকে শপথ পাঠ করান। পরে এই সিটির সাধারণ ওয়ার্ডের ৩০ জন নবনির্বাচিত কাউন্সিলর ও ১০ সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলরদের শপথবাক্য পাঠ করান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

গত ২১ জুন রাজশাহী সিটি করপোরেশনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ১ লাখ ৬০ হাজার ২৯০ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. মুরশিদ আলম পেয়েছিলেন ১৩ হাজার ৪৮৩ ভোট।

এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো রাজশাহীর মেয়র নির্বাচিত হলেন খায়রুজ্জামান লিটন। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের আগের তিনটি নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন তিনি। ২০০৮ সালে প্রথমবার মেয়র পদে জয়লাভ করেন খায়রুজ্জামান লিটন। এরপর ২০১৮ সালের নির্বাচনেও মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। তবে ২০১৩ সালে বিএনপির প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেনের (বুলবুল) কাছে হেরে যান।