ফাঁসিয়াখালী বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে বিনা অনুমতিতে যেকোনো মানুষের প্রবেশ নিষেধ বলে জানিয়েছেন রেঞ্জ কর্মকর্তা।
টঙ্গীতে তক্ষক-বাঘডাসসহ ২০ প্রাণী উদ্ধার, উদ্যানে অবমুক্ত
“অভিযানের বিষয়টি বুঝতে পেয়ে বন্যপ্রাণী ও পাখি রেখেই পালান কারবারি।”
Published : 26 Feb 2023, 01:42 PM
Updated : 26 Feb 2023, 01:42 PM
গাজীপুরের টঙ্গীর পাখির বাজারে অভিযান চালিয়ে তক্ষক, বাঘডাস, টিয়া-ঘুঘুসহ ২০টি বন্যপ্রাণি ও পাখি উদ্ধার করেছে বনবিভাগ। পরে সেগুলোকে গাজীপুর ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করা হয়।
রোববার সকালে ওই পাখি বাজারে অভিযান চালানো হয় বলে বন্যপ্রাণী পরিদর্শক নিগার সুলতানা জানান।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন ঢাকা বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন কর্মকর্তা শারমীন আক্তার।
নিগার সুলতানা বলেন, গোপন সংবাদে ওই পাখি বাজারে অভিযান চালানো হয়েছে। বিষয়টি বুঝতে পেয়ে বন্যপ্রাণী ও পাখি রেখেই পালান কারবারি। পরে সেখান থেকে একটি তক্ষক, একটি বাঘডাস, ছয়টি বেগুনী কালিম, আটটি ঘুঘু এবং চারটি টিয়াসহ ২০টি বন্যপ্রাণী ও পাখি উদ্ধার করে বিকেলে ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে ছাড়া হয়।
এ সময় বন্যপ্রাণী পরিদর্শক নিগার সুলতানা, বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা রুবিয়া ইসলাম, জাতীয় উদ্যান রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. কাজী নাজমুল হক, ভাওয়াল রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা, পার্ক বিট কর্মকর্তা হাবিবুর রহমানসহ বন বিভাগের কর্মকর্তারা ছিলেন।
বন্যপ্রাণী পরিদর্শক আরও বলেন, এসব প্রাণী-পাখি ধরা ও বিক্রি করা সম্পূর্ণ অবৈধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।
অভিযানের পাশাপাশি টঙ্গীর পাখি বাজারে বন্যপ্রাণী ক্রয়-বিক্রয় বন্ধে সচেতনতা সৃষ্টিতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তারা।
এ সম্পর্কিত খবর
“মৃত হাতিটির মাথার মধ্যে ক্ষত চিহ্ন রয়েছে, দাঁতগুলো উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।”
অজগরটির ওজন প্রায় ১৫ কেজি।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ বলছে, এগুলো শুধুই বিক্রির জন্য নাকি পাচারের জন্য আনা হয়েছিল, তা তদন্ত করে দেখা হবে।
