চাঁদপুরে হরিজন সম্প্রদায়ের জন্য নির্মাণ হচ্ছে দুইটি ভবন

ধর্মীয় ও ছেলেমেয়েদের পড়ালেখা বিবেচনায় দুই কক্ষ, রান্নাঘর, টয়লেট সুবিধা দেওয়া আহ্বান জানান হরিজনরা।

কলোনির পুকুর পাড়ে ভবন দুটির ছাদ পেটানোসহ কয়েক তলার কাজ শুরু হয়েছে।

চাঁদপুর শহরের হরিজন সম্প্রদায়ের ৮৮টি পরিবারের জন্য দুটি পাঁচতলা ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।

রোববার চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জানান, শহরের স্বর্ণখোলা কলোনিতে এই ভবন নির্মাণাধীন রয়েছে।

সরেজমিন দেখা যায়, কলোনির পুকুর পাড়ে ভবন দুটির ছাদ পেটানোসহ কয়েক তলার কাজ শুরু হয়েছে। এতে আনন্দিত পরিছন্নতাকর্মী হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজন।

চাঁদপুর পৌরসভা ও ইউএনডিপি সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকায় হরিজন সম্প্রদায়ের জন্য পাঁচতলা দুটি ভবন নির্মাণে সম্পূর্ণ অর্থায়ন করছে সরকার। আর জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি-ইউএনডিপি, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর-এলজিইডি ও চাঁদপুর পৌরসভার তত্ত্বাবধানে ভবন দুটির কাজ শেষ করতে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ১০ কোটি টাকা।

এ বিষয়ে হরিজন সম্প্রদায়ের আকাশ, বিপ্লব, খোকনসহ কয়েকজন জানান, নতুন ভবন হওয়ায় তারা খুশি। তবে তাদের জন্য বরাদ্দ হচ্ছে একটি এক কক্ষের ফ্ল্যাট। তার মধ্যেই রান্নাঘর ও টয়লেট থাকবে। যা অনেকটা ছোট মনে হচ্ছে তাদের।

ধর্মীয় ও ছেলেমেয়েদের পড়ালেখা বিবেচনায় দুই কক্ষ, রান্নাঘর, টয়লেট সুবিধা দেওয়া আহ্বান জানান তারা।

এ বিষয়ে চাঁদপুর শহরের ইউএনডিপি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের ম্যানেজার মো. আব্দুল হান্নান বলেন, যাদেরকে এই বিল্ডিং দুটিতে স্থানান্তর করা হবে তাদের বর্তমান জায়গা খালি করা সাপেক্ষে আরও দুটি ভবনের কাজ পরবর্তী সময়ে হাতে নেওয়া হবে।

“বসবাসের বিষয়টা গুরুত্ব দিয়ে রুমের সাইজ ১৩ ফিট বাই ১০ ফিট করছি। প্রতিটি ভবনের নীচ তলায় বিয়ে-শাদীর জন্য কমন স্পেস, দ্বিতীয় তলায় ১২টি পরিবার ও তৃতীয় তলায় আটটি পরিবার রাখার পরিকল্পনা করছি।”

তিনি আরও বলেন, এ ছাড়া চতুর্থ ও পঞ্চম তলায় রিএরেঞ্জ করার সুযোগ থাকলে সেটা অবশ্যই করা হবে। এমনকি তাদের মৃত্যুর পর মরদেহ নামানোর জন্য একটা কমন স্পেসের ব্যবস্থা করব।

এ বিষয়ে পৌর মেয়র বলেন, “প্রথম পর্যায়ে ৮৮টি ফ্ল্যাটে যারা থাকবেন তাদেরকে ভালো ও উন্নত পরিবেশে স্থানান্তর করতে সক্ষম হব। সারাদেশের মধ্যে অন্য পৌরসভাগুলোর আগে চাঁদপুর পৌরসভা এই ভবন নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করবে আশা করছি। এতে করে পরবর্তীতে হরিজনদের জন্য আরও কয়েকটি বহুতল ভবন নির্মাণের সুযোগ পাব।”

[প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেসবুক লিংক]