বিজয় এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা: রেলমন্ত্রী

বিজয় এক্সপ্রেস লাইনচ্যুতির ঘটনায় কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম।

তিনি বলেন “এখানে লাইনচ্যুতির হওয়ার ঘটনায় যতটুকু বোঝার আমরা বুঝে নিয়েছি। এ ব্যাপারে কারও কোনো শৈথিল্য থাকলে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।”

শনিবার দুপুরে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের হাসানপুর স্টেশন সংলগ্ন তেজের বাজারে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

রেলমন্ত্রী বলেন, “ঢাকা থেকে বরিশালের পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। একদম সবচেয়ে সস্তা পরিবহন হিসেবে রেলকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী সচেষ্ট আছেন।”

“আমরা যারা রেল নিয়ে কাজ করছি; চেষ্টা করছি যাতে নিরাপদ রেল যাত্রায় মানুষকে পৌঁছে দেওয়া যায়। আমরা এ ব্যাপারে আপনাদেরও সহযোগিতা চাই।এখানে আমরা এসেছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে। তিনি আমাদের বলেছেন তোমরা সেখানে যাও, লোকজনের সাথে কথা বলো। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়ে আমরা এখানে এসেছি। তিনি জানেন আমরা এখানে এসেছি।

“এ ঘটনায় যারাই জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নিতে হবে। এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ।” যোগ করেন তিনি।

কোথাও রেলের স্লিপার দুর্বল দেখলে বা কোথাও ট্রেন লাইন কেটে ফেললে দ্রুত রেলওয়েকে জানানোর আহ্বান জানিয়ে জিল্লুল হাকিম বলেন, “দুর্ঘটনা রোধ করার জন্য যা কিছু করার প্রয়োজন, আমরা আপনাদের সহযোগিতায় তার ব্যবস্থা করতে পারব বলে আমার বিশ্বাস।”

“আমাদের রেলের সচিব, ডিজি ও জেলা প্রশাসক সাহেব আছেন। আপনারা তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করলে আমরা লোক পাঠিয়ে স্লিপারগুলো বদলানোর ব্যবস্থা করতে পারব।

আমি আপনাদের অনুরোধ করি এটা জাতীয় সম্পদ রেল। রেলের যাত্রীদের জীবনের মূল্য অনেক বেশি।”

মন্ত্রী বলেন, “যে সমস্ত দল মানুষকে মেরে রাজনীতির ফায়দা লুটতে চায়, যারা জাতীয় সম্পদ ধ্বংস করে ফায়দা লুটতে চায়, তারা কি সেই ফায়দা লুটতে পারছে? জনগণ কিন্তু আজকে সজাগ আছে। এই যে রেলের বগিতে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করা, এটা কি মানুষ সমর্থন করে? একজন বিএনপির লোকও এই কাজ সমর্থন দেবে না।

“একজন মানুষ যে যার মধ্যে বিবেক বুদ্ধি আছে সে কিন্তু এই কাজটা সমর্থন করবে না। পরে কী হবে? ওই দলটা কিন্তু জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে, যেমন এখন হয়েছে। তারা আবার চেষ্টা করছে নানানভাবে উঠে দাঁড়ানোর। জনগণ তাদের ক্ষমতায় নেবে না। জনগণ থেকে তারা বিচ্ছিন্ন হবে। এই মেসেজটা তারা বুঝতে পারলে আমাদের কষ্ট অনেক কমে যায়।”

এ সময় রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নাহার বেগম, রেলসচিব হুমায়ূন কবির, রেলওয়ের ডিজি সরদার শাহাদাত আলী, চট্টগ্রাম বিভাগীয় রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক নাজমুল হোসেনসহ রেলওয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।