১৫০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ৯ এনজিও কর্মী গ্রেপ্তার

সংস্থাটির স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন যেমন নেই, তেমনই অনুমোদিত এলাকার বাইরেও কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 March 2024, 05:25 PM
Updated : 19 March 2024, 05:25 PM

প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় দেড়শ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ৯ এনজিও কর্মীকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে রংপুর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সহযোগিতায় সোমবার বিকালে নগরীর গোমস্তাপাড়ায় ‘অগ্রসরমান আদর্শ যুব কর্ম সংস্থা'য় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- অগ্রসরমান আদর্শ যুব কর্ম সংস্থার জেলা কো অর্ডিনেটর রিয়াদ হোসেন, সুপারভাইজার প্রদীপ কুমার আচার্য, উপজেলা কো-অর্ডিনেটর ফজলে রাব্বি, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা প্রদীপ রায়, সহকারী উপজেলা কো-অর্ডিনেটর সাজ্জাদ হোসেন, গোলজার হোসেন, কম্পিউটার অপারেটর নজরুল ইসলাম, আলমগীর হোসেন মালি ও মাহবুব হাসান লিমন।

রংপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (গোয়েন্দা) শাহ নুর আলম পাটোয়ারী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওই প্রতিষ্ঠানের কাজে অস্বচ্ছতা রয়েছে বলে সন্দেহ হওয়ায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”

পুলিশ বলছে, ইনটিগ্রেটেড রুরাল ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রামের (আইআরডিপি) আওতায় রংপুর বিভাগের ৮ জেলার ৫৩৫টি ইউনিয়নে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য ২০২২ সালে দরপত্র আহ্বান করে অগ্রসরমান আদর্শ যুব কর্ম সংস্থা। প্রতিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বাস্তবায়নে প্রায় ৮৫ লাখ টাকা ধরা হয়, তাতে মোট ৪৫৮ কোটি টাকা ব্যয় হওয়ার কথা।

দরপত্রে বলা হয়, প্রথম ধাপে ২৫ শতাংশ, দ্বিতীয় ধাপে ছাদ নির্মাণের পরে ২৫ শতাংশ এবং তৃতীয় ধাপে কাজ শেষ হওয়ার পরে ৫০ শতাংশ মূল্য পরিশোধ করা হবে।

ব্যয়ের ৫০ শতাংশ অর্থ তুরস্ক ও ফ্রান্সের দাতা সংস্থা পরিশোধ করবে এবং বাকি ৫০ শতাংশ ব্যয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরিশোধ করবে বলে সংস্থাটির তরফে প্রচার চালানো হয়। ৪০ হাজার টাকা করে দরপত্র শিডিউল বিক্রিসহ নানা উপায়ে সংস্থাটি ইতোমধ্যে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ এসেছে।

এনএসআইয়ের তথ্যের বরাতে পুলিশ জানিয়েছে, সংস্থাটির স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন যেমন নেই, তেমনই অনুমোদিত এলাকার বাইরেও কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তাছাড়া সব ধরনের প্রচার-প্রচারণায় সরকারি মনোগ্রাম ব্যবহার করে সংস্থাটি প্রতারণা করে আসছিল। তাছাড়া সংস্থাটির বৈধ কাগজপত্রই নেই।

গোয়েন্দা কর্মকর্তা শাহ নুর আলম পাটোয়ারী বলেন, তাদের কর্মকাণ্ডে প্রাথমিক তদন্তে অস্বচ্ছতা মেলায় ‘সন্দেহজনক' হিসাবে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।