নারায়ণগঞ্জে বিএনপির ২০ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার, সড়কে তল্লাশি

নাশকতার উদ্দেশ্যে গাড়িতে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে পুলিশ সতর্ক রয়েছে বলে জানান সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি।

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সড়কে তল্লাশি চৌকি বসিয়েছে পুলিশ।

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশকে ঘিরে নারায়ণগঞ্জে অভিযান চালিয়ে দলটির ২০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া সড়ক-মহাসড়কে তল্লাশি চৌকি বসিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত জেলার সাতটি থানা এলাকায় অভিযান চালানো হয়।

এসব অভিযান নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ বলে দাবি করেন জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) চাইলাউ মারমা।

তিনি বলেন, “পুরনো বিস্ফোরক ও নাশকতার মামলাগুলোর ফলোআপ নিতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে। এসব অভিযানে ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”

তবে সমাবেশে যেতে বাধা দিতে রাতভর নেতা-কর্মীদের বাড়িতে এসব অভিযান চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন।

তিনি বলেন, “অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের এক দফা দাবিতে ঢাকা মহাসমাবেশে যেতে বাধা দিতে পুরনো মামলায় গণগ্রেপ্তার করছে পুলিশ।”

প্রতিবারই যেকোনো কর্মসূচির আগে এই কাজটি করা হয়। সরকার পুলিশকে ব্যবহার করে বিরোধী মত দমনের চেষ্টা করছে বলে জানান তিনি।

এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কে রাজধানীর প্রবেশপথে ভোর থেকে চৌকি বসিয়েছে তল্লাশি চালায় পুলিশ।

পুলিশ জানায়, কেউ যাতে কোনো বিস্ফোরক দ্রব্য বহন করে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সড়কের পাগলার তালতলা, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর, শিমরাইল, মৌচাক সাইনবোর্ড, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের তারাব, ভুলতা, পুরিন্দাসহ কয়েকটি স্থানে তল্লাশি চৌকি স্থাপন করা হয়েছে।

এসব স্থানে বিভিন্ন যাত্রীবাহী গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি ও যাত্রীরা কে, কোথায় যাচ্ছেন তা জিজ্ঞেস করা হচ্ছে।

তবে ভোর থেকে এইসব চেকপোস্ট থাকলেও কাউকে গ্রেপ্তার বা আটকের খবর পাওয়া যায়নি।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মৌচাক মোড়ে আব্দুর রহমান নামের এক যাত্রী জানান, তিনি ঢাকায় যাবেন। শিমরাইল এলাকা থেকে বাসে উঠেছেন। কিছুদূর আসতেই মৌচাকে তাদের বাস থামিয়ে তল্লাশি করা হয়।

 “কোথায়, কেন যাচ্ছি এইসব জানতে চেয়েছে পুলিশ। যাত্রীদের যারা ব্যাগ বহন করছিলেন সেখানে কী আছে তাও তল্লাশি করে দেখেছে পুলিশ”, বলেন ওই যাত্রী।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি গোলাম মোস্তফা বলেন, “কোনো ব্যক্তি নাশকতার উদ্দেশ্যে গাড়িতে বিস্ফোরক দ্রব্য বহন করছে কিনা সে বিষয়ে পুলিশ সতর্ক রয়েছে।

পরবর্তীতে কোনো নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই তল্লাশি চৌকি থাকবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।