শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: বিস্ফোরক মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ

সাতক্ষীরায় কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।

বুধবার সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ স্পেশাল ট্রাইবুনাল-৩ এর বিচারক বিশ্বনাথ মণ্ডলের আদালতে এ সাক্ষ্য গ্রহণ হয়।

অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনির জানান, অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় আজ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হলো। আগামী ১৪ জুলাই সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।

তিনি জানান, শুরুর দিন সাক্ষ্য দিয়েছেন কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফিরোজ আহমেদ স্বপন।

এ ছাড়া ৪৯ আসামির মধ্যে তালা-কলারোয়ার বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৪০ জন আসামি উপস্থিত ছিলেন বলে তিনি জানান।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২০০২ সালের ৩০ অগাস্ট সকাল ১০টায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের হিজলদি গ্রামের এক মুক্তিযোদ্ধার ‘ধর্ষিতা’ স্ত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে যশোরে ফিরে যাওয়ার পথে সকাল ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাস রাস্তার ওপর আড়াআড়ি দাঁড় করিয়ে রেখে তার গাড়িবহরে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।

তৎকালীন সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ বিএনপি দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এই হামলার অভিযোগ ওঠে।

হামলায় তৎকালীন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মতিন, জোবায়দুল হক রাসেল, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী ফাতেমা জাহান সাথী, শহিদুল হক জীবনসহ অনেকেই আহত হন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

এই আদালতের পিপি আব্দুল লতিফ জানান, এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার একটি আইনে ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তালা-কলারোয়ার বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জন নেতা-কর্মীকে চার থেকে ১০ বছর – বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেন সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিম হুমায়ুন কবির।

এরপর গত ১৬ জুনে কই মামলায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের ধারায় আরেকটি অভিযোগ গঠন করা হয় বলে তিনি জানান।