সিরাজগঞ্জ জেলা জজের বদলি দাবি আইনজীবীদের

সিরাজগঞ্জে আদালত কর্মচারীদের সঙ্গে বিরোধ নিয়ে এক সপ্তাহের ‘অচলাবস্থার’ মধ্যে এবার জেলা জজ ও মুখ্য বিচারিক হাকিমের বদলি দাবি করেছেন আইনজীবীরা।

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Jan 2022, 03:24 PM
Updated : 20 Jan 2022, 03:24 PM

বৃহস্পতিবার জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে সভা করে তারা অন্যান্য দাবিসহ তাদের বদলি চেয়েছেন।  

এর আগে তারা আদালত চত্বরে মিছিল-সমাবেশ করেছেন। আদালত বর্জনও অব্যাহত রেখেছেন। এরপর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি দেন।

এদিকে, আদালতগুলো খোলা থাকলেও আইনজীবীরা না যাওয়ায় আদালতের কার্যক্রমে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

সংবাদ সন্মেলনে আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ পান্না বলেন, আইনজীবী ও স্টোনোগ্রাফারের মধ্যে সৃষ্ট সমস্যা সমাধাকল্পে জেলা জজ ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে [মুখ্য বিচারিক হাকিম] লিখিতভাবে অবগত করা হয়েছে। কিন্ত ঘটনার আট দিন অতিবাহিত হলেও বিষয়টি সমাধাকল্পে তারা কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেননি।

“উল্টো অভিযুক্ত স্টোনোগ্রাফার ইউসুফ আলী পলাতক থেকেও আইনজীবীদের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। আর তার পক্ষ অবলম্বন করে আদালতের কর্মচারীরা এজলাস ও অফিস কক্ষ বন্ধ রেখে আপত্তিকর ব্যানার হাতে আইনজীবীদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে  মিছিল-সমাবেশ করেছেন।”

“এটা শিষ্টাচার বহির্ভূত ও চরম অনৈতিক; কিন্তু জেলা ও দায়রা জজ এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছেন এবং পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করেছেন।”

এ কারণে জেলা ও দায়রা জজ এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে অন্যত্র বদলি, আইনজীবীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, স্টোনোগ্রাফার ইউসুফ আলীকে গ্রেপ্তার ও দুর্নীতিবাজ কর্মচারীদের অপসারণ দাবি করছেন তারা।  

বিষয়টি প্রধান বিচারপ্রতি, আইন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বার কাউন্সিলে লিখিতভাবে অবগত করা হয়েছে বলেও সংবাদ সন্মেলনে জানানো হয়। 

দাবি না মানা হলে আদালত বর্জন অব্যাহত থাকবে এবং আইনজীবী সহকারীরাও আদালতে যাওয়া থেকে বিরত থাকবেন বলে জানান সংবাদ সম্মেলনে।

সংবাদ সন্মেলনে আইনজীবী সমিতির সভাপতি মীর রুহুল আমিন বাবুসহ অন্যান্য আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।   

গত বৃহস্পতিবার বিচারিক হাকিম আদালতের স্টেনোগ্রাফার ইউসুফ আলী এবং আইনজীবী আবুল কালামের মধ্যে বিরোধের সূত্রপাত হয়। তিন দিন পর রোববার জেলা জজ ও বিচারিক হাকিম আদালতের কর্মচারীরা ব্যানার টানিয়ে আইনজীবিদের শাস্তির দাবিতে আদালত প্রাঙ্গণে সভা-সমাবেশ করেন।

এরপর থেকে অফিস ও এজলাস বন্ধ রেখে আইনজীবীরা আদালত বর্জন শুরু করেন। এই ঘটনায় আইনজীবী ও স্টোনোগ্রাফারের পক্ষ থেকে থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।