পাথরঘাটায় র‌্যাবের স্থায়ী ক্যাম্প চান মৎস্যজীবীরা

বরগুনার পাথরঘাটায় র‌্যাবের স্থায়ী ক্যাম্প স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন ওই এলাকার মৎস্যজীবীরা।

বরগুনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Dec 2021, 04:39 PM
Updated : 12 Dec 2021, 04:39 PM

পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে রোববার দুপুরে মৎস্যজীবীদের সঙ্গে র‌্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের মতবিনিময়কালে এ দাবি জানান তারা।

সেই সঙ্গে জলদস্যুদের হাতে নিহত জেলের স্বজনদের স্থায়ী পুনর্বাসনের দাবিও জানানো হয়।

র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) কে. এম. আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন, জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান ও পুলিশ সুপার মুহম্মদ জাহাঙ্গীর মল্লিক উপস্থিত ছিলেন।

র‌্যাবের স্থায়ী ক্যাম্প স্থাপনের দাবি জানিয়ে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, বরগুনা জেলার প্রায় শতভাগ মানুষ মৎস্য সংশ্লিষ্ট পেশায় সম্পৃক্ত। বঙ্গোপসাগরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করে জীবন বাজি রেখে মাছ ধরেন তারা। এর মধ্যে জলদস্যুরা হামলা করে সব লুট করে নিয়ে যায়। অনেক জেলেকে নির্যাতন শেষে গুলি ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

পাথরঘাটায় র‌্যাবের স্থায়ী ক্যাম্প হলে এবং সুন্দরবনসহ বঙ্গোপসাগরে নিয়মিত টহল দিলে জলদস্যুরা আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না বলে তিনি মনে করেন।

ট্রলার মালিক আবুল হোসেন ফরাজী বলেন, “একটা সময় পাথরঘাটার একটি গ্রামের প্রতি ঘরে জলদস্যু ছিল। আজ জলদস্যুতা নির্মূল হলেও তাদের লিডাররা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। ওই লিডারদের চিহ্নিত করলে আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। 

“সাগর ও সুন্দরবনের সম্পদ টিকিয়ে রাখতে এবং জেলেদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সুন্দরবন ও পাথরঘাটায় দুটি র‌্যাব ক্যাম্প স্থাপন করতে হবে।”

র‌্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, “সুন্দরবন দস্যুমুক্ত করা হয়েছে। এবার বরগুনা, পিরোজপুর ও পটুয়াখালী সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে দস্যুতা বন্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। পাশাপাশি জলদস্যুদের আত্মসমর্পণেরও সুযোগ দেওয়া হবে।”

র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, “সম্প্রতি আমরা দেখছি, সুন্দরবন দস্যুমুক্ত হওয়ার পর কিছু জলদস্যু পালিয়ে এসে বরিশাল, বরগুনা ও পাথরঘাটা এলাকায় দস্যুতা করছে। জলদস্যুদের হাতে কেউ ভুক্তভোগী হলে র‌্যাবকে জানানোর আহ্বান করা হচ্ছে।”

বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাসানুর রহমান রিমন বলেন, “জলদস্যুতা গত কয়েক বছর ছিল না। সম্প্রতি আবার শুরু হয়েছে। সরকার জলদস্যুদের বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতিতে চলছে।”

মৎস্যজীবীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “র‌্যাবের ঘাঁটি হোক। তবে যেহেতু জলদস্যুরা সাগরে দস্যুতা করে তাই তাদের নির্মূলে সাগরেও র‌্যাবের ভাসমান ঘাঁটি থাকা উচিত।”