খুলনায় চাঁদাবাজি মামলায় পুলিশসহ ৫ জনের কারাদণ্ড

খুলনায় চাঁদাবাজি মামলায় তিন পুলিশ সদস্যসহ পাঁচ জনকে সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদলতের বিচারক এস এম আশিকুর রহমান বৃহস্পতিবার সাত বছর আগের এই মামলার রাষ ঘোষণা করেন।

সাত বছর কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ১২ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কাজী সাব্বির আহমেদ।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন কনস্টেবল মোল্লা মেসবাহ উদ্দিন, কনস্টেবল মো. ফরহাদ আহমেদ, কনস্টেবল মোস্তাফিজুর রহমান, আরমান শিকদার জনি ও মো. বায়েজিদ।

দণ্ডিত পুলিশ কনস্টেবলরা খুলনা পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন। এদের মধ্যে কনস্টেবল ফরহাদ ও মোস্তাফিজুর পলাতক রয়েছেন।

অ্যাডভোকেট কাজী সাব্বির আহমেদ জানান, ২০১৪ সালের ১২ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে নগরীর দৌলতপুর বিএল কলেজের দ্বিতীয় গেইটের সামনে একটি চায়ের দোকানে ওই পাঁচ জন সাদা পোশাকে অবস্থান করেন। এ সময় তারা মো. শাহরিয়ার রিন্টু ও আবু ইছহাক নামের দুই ব্যক্তিকে সেখানে আটকে রাখেন।

“মেসবাহ উদ্দিন নিজেকে পুলিশের এসআই পরিচয় দিয়ে তাদের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। দর কষাকষির এক পর্যায়ে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।”

সাব্বির বলেন, পরে এলাকাবাসী ঘটনাটি দৌলতপুর থানায় জানালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই দুই ব্যক্তিকে উদ্ধারসহ ওই পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করে। পরে চাঁদাবাজির অভিযোগে দৌলতপুর থানার এসআই কাজী বাবুল হোসেন বাদী হয়ে ওই তিন কনস্টেবল ও তাদের দুই সহযোগীকে আসামি করে মামলা করেন।

২০১৫ সালের ১৯ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. বাবলু খান আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।