টাকা আত্মসাতের মামলায় ব্যাংক কর্মকর্তা দণ্ডিত

টাকা আত্মসাতের মামলায় কুষ্টিয়ায় এক ব্যাংক কর্মকর্তার পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা হয়েছে।  

কুষ্টিয়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Oct 2021, 04:51 PM
Updated : 28 Oct 2021, 04:51 PM

বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ বিশেষ আদালতের বিচারক আশরাফুল ইসলাম আসামির উপস্থিতিতে এই রায় দেন।

দণ্ডিত মো. হাফিজুর রহমান (৫৫) কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া কৈপাল গ্রামের বাসিন্দা প্রয়াত আজগার আলীর ছেলে। তিনি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে কুষ্টিয়ার মুখ্য আঞ্চলিক কার্যালয়ে পরিদর্শক পদে চাকরিরত থাকা অবস্থায় বরখাস্ত হয়েছেন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি সময়ে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক দৌলতপুর উপজেলার ডাংমরকা শাখায় কর্মরত থাকা অবস্থায় ভুয়া নাম-ঠিকানার ব্যক্তির নামে  ঋণ ফাইল তৈরি করে এবং তা অনুমোদন করে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করেন ব্যাংক পরিদর্শক মো. হাফিজুর রহমান। পরবর্তীতে কিস্তিসহ আদায়কৃত ব্যাংকের টাকা নির্ধারিত হিসাবের অনুকূলে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেন তিনি।

দুদকের আইনজীবী আল-মুজাহিদ হোসেন জানান, এই অভিযোগ পেয়ে ২০১৬ সালের ২২ নভেম্বর সমন্বিত দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক কুষ্টিয়া কার্যালয়ের তৎকালীন উপ-পরিচালক আব্দুল গাফফার বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন।

তিনি বলেন, তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৪ জুন আসামির বিরুদ্ধে প্রায় সাড়ে ৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা মেলে। এর ভিত্তিতে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪৭৭(ক) ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগপত্র দেন দুদক উপ-পরিচালক আব্দুল গাফফার।

আল-মুজাহিদ জানান, আসামির বিরুদ্ধে আনীত অর্থ আত্মসাতে জড়িত থাকার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে তিনটি ধারায় ৫ বছর, ৩ বছর ও ৫ বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডসহ দেওয়অ হয়। এছাড়া ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড যা অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

দুদকের এই আইনজীবা জানান, আসামির বিরুদ্ধে এই সাজা একযোগে প্রযোজ্য হবে। তাই আসামি যদি দণ্ডের অর্থ না দেন তাহলে সব মিলিয়ে তাকে সাজা ভোগ করতে হবে ৬ বছর। আর ওই টাকা পরিশোধ করলে কারা ভোগ করতে হবে পাঁচ বছর।