প্রতিনিয়ত লংঘিত হচ্ছে নাগরিক অধিকার: রোকেয়া কবীর

দেশে প্রতিনিয়ত নাগরিক অধিকার লংঘনের অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীর।

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Oct 2021, 05:12 PM
Updated : 25 Oct 2021, 05:12 PM

সোমবার কক্সবাজারে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও ধর্ম অবমাননার অজুহাতে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট অব্যাহত থাকায় সংবিধানে বর্ণিত নাগরিক অধিকার প্রতিনিয়ত লংঘন করা হচ্ছে।

“আমাদের সংবিধানে সকল নাগরিকের সমান অধিকার দেওয়া হয়েছে; যেখানে প্রত্যেক নাগরিক তার নিজস্ব ধর্ম বা বিশ্বাস পালনের সমান সুযোগ পাবে। অথচ আজকে বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন, পূজামণ্ডপে হামলা করে মূর্তি ভাংচুর, হত্যা এবং নারী ও শিশুর প্রতি নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে; যাতে সংবিধানে বর্ণিত নাগরিক অধিকার প্রতিনিয়ত লংঘন করা হচ্ছে।”

‘আমাদের জীবন, আমাদের স্বাস্থ্য, আমাদের ভবিষ্যত’ প্রকল্পের অধীনে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে ‘সিমাভি নেদারল্যান্ডস’-এর সহযোগিতায় বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ তিন দিনব্যাপী বার্ষিক কর্মপরিকল্পনার এই কর্মশালার আয়োজন করে।

প্রকল্পটির অধীনে পাবর্ত্য চট্টগ্রামের স্থানীয় ১০টি সংগঠন কিশোরী ও যুব নারীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার, সহিংসতামুক্ত জীবনযাপন আর মর্যাদাপূর্ণভাবে বেঁচে থাকার জন্য সচেতনতা এবং জীবনদক্ষতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।

প্রকল্প বাস্তবায়নকারী এই সংগঠনসমূহের মোট ৬৩ জন কর্মী কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেছেন।

সকল নাগরিকদের সমান সুযোগ তৈরিতে রাষ্ট্রের পাশাপাশি নাগরিকদেরও কার্যকর ভূমিকা পালনে এগিয়ে আসার আহবান জানান এই নারী নেত্রী। 

রোকেয়া কবীর বলেন, “আমাদের দেশের বড় একটি অংশ কিশোর-কিশোরী। তাদের স্বাস্থ্য, অধিকার নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোও অবদান রাখছে। তারই অংশ হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রামের কিশোরী ও যুব নারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং সহিংসতামুক্ত, মর্যাদাপূর্ণভাবে জীবনযাপনে দক্ষ করে তুলতে এই প্রকল্পটি ভূমিকা পালন করবে।”

প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়নে প্রত্যেকে যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সকালে কক্সবাজার শহরে অভিজাত একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ’ আয়োজিত তিন দিনব্যাপী এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রোকেয়া কবীর।

কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে বক্তব্য রাখেন সিমাভি বাংলাদেশের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মাহবুবা কুমকুম, নারী প্রগতি সংঘের প্রকল্প ব্যবস্থাপক সঞ্জয় মজুমদার।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন হিল ফ্লাওয়ারের নির্বাহী পরিচালক নিলু কুমার তঞ্চঙ্গ্যা, টংগ্যার-এর ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক পরশ খীসা, অনন্যা কল্যাণ সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক ডনাইপ্রু নেলী, গ্রাউসের নির্বাহী পরিচালক চাইসিং মং, তহজিংডং-এর নির্বাহী পরিচালক চিংসিংপ্রু, প্রোগ্রেসিভ-এর নির্বাহী পরিচালক সুচরিতা চাকমা, উইভ-এর নির্বাহী পরিচালক নাইউপ্রু মারমা মেরী, কেএমকেএস-এর নির্বাহী কমিটির সদস্য শাপলা ত্রিপুরা প্রমুখ।