ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান জানান, শুক্রবার বিকাল সোয়া ৫টার দিকে উপজেলার লইসকা বিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে ২১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
আহত ছয় জনকে ব্রহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এই ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। পুলিশ বালুবোঝাই ট্রলারের তিন জনকে আটক করেছে।
বিজয়গর উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের ফতেহপুর গ্রামের জহিরুল হকের ছেলে আরিফ বিল্লাহ (২০), বেড়াগাঁও গ্রামের প্রয়াত মালু মিয়ার স্ত্রী মঞ্জু বেগম (৬০), জজ মিয়ার স্ত্রী ফরিদা বেগম (৪৭), তার মেয়ে মুন্নি (১০), আব্দুল হাসিমের স্ত্রী কমলা বেগম (৫২), নূরপুর গ্রামের প্রয়াত রাজ্জাক মিয়ার স্ত্রী মিনারা বেগম (৫০), আদমপুর গ্রামের অখিল বিশ্বাসের স্ত্রী অঞ্জনী বিশ্বাস (৩০), পরিমল বিশ্বাসের মেয়ে তিথি বিশ্বাস (২) এবং ময়মনসিংহের খোকন মিয়ার স্ত্রী ঝরনা বেগম (৪৫)।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, নৌকাটি যাত্রী নিয়ে জেলার বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শহরের আনন্দ বাজার ঘাটে আসছিল।
“বিকাল সোয়া ৫টার দিকে বিপরীত দিক থেকে আসা বালুবোঝাই ট্রলারের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে যাত্রীবাহী নৌকাটি উল্টে সব যাত্রী নদীতে পড়ে যায়।”
ট্রলারে অন্তত ৫০ জন যাত্রী ছিল জানিয়ে ওসি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজে অংশ নেন। পরে কিশোরগঞ্জ থেকে ডুবুরি এসেও উদ্ধার কাজে নামেন। ২১ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত ছয় জনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান সাংবাদিকদের জানান, ঘটনার তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে আহবায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
সদর মডেল থানার ওসি এমরানুল ইসলাম জানান, বালুবোঝাই ট্রলারের তিন জনকে পুলিশ আটক করেছে। কিশোরগঞ্জ থেকে আসা ডুবুরিরা উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছে।