টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সোমবার বেলা ১১টায় সংবাদ সম্মেলন করেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।
এদিকে, আমানুর রহমান খান রানার সংবাদ সম্মেলনের পর আরেক আওয়ামী লীগ নেতাও সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
তপন রবিদাস নামে এক ব্যক্তি হত্যার হুমকির অভিযোগ তুলে গত ১ জুন টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে আমানুর রহমান খান রানার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন।
রানা লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, “গত ১ জুন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক তথাকথিত সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, আমি নাকি তপন রবিদাস নামে এক ব্যক্তিকে রিভলবার ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি প্রদান করেছি। এমনকি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শহর ছেড়ে চলে যেতে বলেছি।”
এই অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, “প্রকৃতপক্ষে তপন রবিদাস নামে কোনো ছেলেকে আমি চিনি না। কখনও দেখিও নাই। এটি সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলক সাজানো নাটক, যার কুশীলবরা পর্দার আড়ালে রয়েছেন।”
একটি হত্যা মামলায় তিনি প্রায় তিন বছর [৩৪ মাস ২১ দিন] কারাগারে ছিলেন। ২০১৯ সালের ৯ জুলাই জামিনে মুক্ত হন।
দলের একটি অংশ [হাইব্রিড] তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এদিকে, সাবেক এমপি রানার পরপরই সংবাদ সম্মেলন করেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাহার আহমেদ।
তিনি বলেন, “সাবেক এমপি রানা আজকে সংবাদ সম্মেলেন করে টাঙ্গাইলকে অস্থিতিশীল করার পায়ঁতারা করছেন।”
তপন রবিদাসকে ‘পেটে পিস্তল ঠেকিয়ে’ হত্যার হুমকি দিয়েছেন বলে যে অভিযোগ করা হয়েছিল তা আবার তোলেন নাহার আহমেদ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল বাস কোচ মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব বড় মনি, কাউন্সিলর হাজী মোর্শেদ, আমিনুর রহমান খান আমিন, নাহার আহমেদের মেয়ে ফারজানা আহমেদ প্রমুখ।