মাদারীপুরে মেয়েকে ধর্ষণের জন্য দম্পতি হত্যা: পুলিশ

মাদারীপুরে কিশোরীকে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে তার বাবা মোয়াজ্জেম সরদার আর মা মাকসুদা বেগমকে হত্যা করা হয় বলে গোপালগঞ্জের পুলিশ জানিয়েছে।

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 April 2021, 07:27 AM
Updated : 24 April 2021, 07:27 AM

গোপালগঞ্জের পিবিআই পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম আজাদ শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, হত্যাকাণ্ডের প্রায় দুই সপ্তাহ পরে বৃহস্পতিবার আশরাফুল মোল্লা (৩৮) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের পর তারা বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

গত ৯ এপ্রিল মাদারীপুরে কালকিনি উপজেলার রাজারচর থেকে ৪৫ বছর বয়সী মোয়াজ্জেম আর ৪০ বছর বয়সী মাকসুদার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাদের বাড়ি রাজারচরের পাশে কোলচড়ি স্বস্তাল গ্রামে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “আশরাফুল ওই দম্পতির বাড়িতে কাজ করতেন। দম্পতির ১৪ বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে। আশরাফুল তার সঙ্গে সখ্য করার চেষ্টা করেন। তা সম্ভব না হওয়ায় তার বাবা-মাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন বলে আশরাফুল স্বীকার করেছেন।

“আশরাফুল পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক গত ৫ এপ্রিল রাতে প্রথম মোয়াজ্জেম সরদারকে কৌশলে বসতভিটা থেকে ২৫০ গজ দূরে নির্জন স্থানে ডেকে নিয়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে একই কৌশলে মাকসুদা বেগমকে হত্যা করেন। তারপর তাদের কিশোরী মেয়েকে ফুঁসলিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় মোয়াজ্জেম ও মাকসুদার মোবাইল ফোন নিয়ে যান আশরাফুল। গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন দুটি উদ্ধার করা হয়েছে।”

হত্যাকাণ্ডের চারদিন পরে দম্পতির লাশ উদ্ধার করা হয়। তার আগে কালকিনি থানায় অপহরণের মামলা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোপালগঞ্জের পিবিআইয়ের এসআই মো. আল-আমিন শেখ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে একই তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, “আশরাফুল বিভিন্ন সময় নিজেকে সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য বলে পরিচয় দিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় একাধিক নারীকে ফুঁসলিয়ে ধর্ষণ করেছেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে যশোর, নড়াইল ও রাজশাহীতে এ সংক্রান্ত  পাঁচটি মামলা রয়েছে।

“মেয়েকে ধর্ষণের জন্য তার বাবা-মাকে হত্যা করেছেন বলে আশরাফুল স্বীকার করেছেন।”

আশরাফুল নড়াইল সদর উপজেলার বোড়ামারা গ্রামের আকবর আলী মোল্লার ছেলে। বৃহস্পতিবার নড়াইল সদর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান এসআই আল-আমিন।

তিনি বলেন, শুক্রবার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন আশরাফুল। সেখানে তিনি  হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণের ঘটনার বর্নণা দেন।