মুন্সীগঞ্জে ছয় মাস আগের লাশ উত্তোলন কবর থেকে

আদালতের নির্দেশে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় কবর থেকে তোলা হয়েছে এক নারীর লাশ, যার মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ছয় মাস আগে। 

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Jan 2021, 05:44 PM
Updated : 10 Jan 2021, 05:44 PM

রোববার মাওয়া চৌরাস্তা সংলগ্ন পশ্চিম কুমারভোগ কবরস্থান থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইলিয়াস শিকদারের উপস্থিতিতে পুলিশ লাশ তুলে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

মৃত তাহমিনা আক্তার ঝুমুর মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের মেদিনীমন্ডল আনোয়ার চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবু নাছের লিমনের স্ত্রী।

এই ঘটনায় আবু নাছের লিমনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন তাহমিনা আক্তার ঝুমুরের ভাই মো. কামরুজ্জামান খান। মামলায় দিলরুবা আক্তার নামে এক নারীকেও আসামি করা হয়েছে, যাকে লিমনের প্রেমিকা বলা হচ্ছে।

আবু নাছের লিমনের উত্তর মেদিনীমন্ডল গ্রামের ওহাব খার ছেলে। মামলা হওয়ার পর থেকে লিমন পলাতক রয়েছেন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, আবু নাছের লিমনের সঙ্গে ১৬-১৭ বছর আগে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের সমষপুর গ্রামের জয়নাল খার মেয়ে তাহমিনা আক্তার ঝুমুরের বিয়ে হয়। তাদের আনাছ (১৪) ও আহাদ (৭) নামে দুই ছেলে রয়েছে।

লিমন ৫/৬ বছর আগে দিলরুবা আক্তার নামে এক নারীর সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, তাদের এই সম্পর্ক জানাজানি হলে তাদের পারিবারিক কলহ শুরু হয়। এর জেরে লিমন প্রায়ই তাহমিনাকে মারধরসহ নানাভাবে নির্যাতন করতেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, গত ২৪ জুলাই লিমন তার কথিত প্রেমিকা দিলরুবাকে নিয়ে তার বাড়িতে যান। তাহমিনা এই সময় দিলরুবাকে বাড়ি থেকে বের করতে চাইলে এক পর্যায়ে লিমন ও দিলরুবা তাকে গলা টিপে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এরপর গভীর রাতে পশ্চিম কুমারভোগ কবরস্থানে লাশ দাফনক করে।

ঘটনার সময় লিমন ও তাহমিনার দুই ছেলে তাদের নানাবাড়ি বেড়াতে গিয়েছিল বলে মামলায় বলা হয়।

এদিকে, স্বজনরা লিমনের কাছে মৃতুর কারণ জানতে চাইলে তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

লৌহজং থানার ওসি মো. আলমগীর হোসাইন বলেন, তাহমিনা আক্তার ঝুমুরের ভাই মো. কামরুজ্জামান খান মুন্সীগঞ্জ জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে গত ১০ আক্টোবর একটি মামলা দায়ের করেন।

“গত মাসে মামলাটি আদালত থেকে থানায় আসে। ১০ জানুয়ারি একজন ম্যাজিস্ট্র্রেটের উপস্থিতিতে নিহত তাহমিনা আক্তার ঝুমুরের লাশ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।